খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্র বাহিনী রেখেছে অসামান্য অবদান। দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে অধিকতর শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারের ২০১০ থেকে ২০১১ সালে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ৫১ কোটি টাকা, ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে মোট বাজেট ২৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ বিগত ৮ বছরে সামরিক খাতে সরকার প্রায় তিনগুণেরও বেশি ব্যয় ধার্য করে।
সরকারের ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক এপিসি, এআরভি, ব্যাটেল ট্যাংক, আরমার্ড রিকভারি ভেহিকেল, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র এবং সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়।
বিমান বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত করার লক্ষ্যে এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এফএম-৯০ সংযোজন করা হয়েছে। বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি অত্যাধুনিক সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ নৌ বাহিনীতে যুক্ত হয়ে নৌ বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়েছে। আক্ষরিকভাবেই বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। চার ধাপের মাধ্যমে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে একটি অত্যাধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গঠনে সরকারের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বদরবারে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০