খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা হলো। ৭ মে পর্যন্ত সময় নেয়া হলো। কিন্তু মানি না মানব বলে শিক্ষার্থী আবার রাস্তায় বসে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয় সেশন জট ছিল না। কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের এ কদিন পরীক্ষা নষ্ট হলো, ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হলো। রাস্তাঘাটে জনগণকে কষ্ট পোহাত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেন? সব কোটা বাতিল। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাই দারিদ্র বিমোচনে বড় হাতিয়ার। আমার শাসনামলে সেটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে তারা। যাতে সবাই দেশ পরিচালনা করতে পারে। কারণ এরাই একদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তাদের কী কাজ? ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে বসে থাকা।
ঘটনা সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়লো। সেই শিক্ষা গঠনমূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। একটা ছেলে আহত হয়েছে। কিন্তু মারা গেছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, হলের গেট ভেঙে মেয়েরা বের হয়ে গেছে। এই উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস কেন দেয়া হলো। এরপর যদি কোনো অঘটন ঘটত, কে দায়িত্ব নিত? ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরাও একসময় ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কখনো ভিসির বাড়িতে হামলা হতে দেখিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তর সালেও পাকিস্তানে হানাদার বাহিনী এমন বর্বরতার সঙ্গে হামলা চালানো করেছিল। ভিসির পরিবারকে ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। যে সিসি ক্যামেরা ছিল, হামলকারীরা তা ভেঙেছে। রেকর্ডিং বক্স সরিয়ে নিয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। তারা ছাত্র হতে পারে না। এর তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আন্দোলনরতদের সঙ্গে মন্ত্রী বসেছিলেন। ক্যাবিনেট সেক্টরে নির্দেশ দিলাম, দাবি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। মন্ত্রী গেল, তার সঙ্গে বৈঠকে গেলো। সমঝোতা হলো। তিনি বলেও দিলেন, কী নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু অনেক ছাত্র ছাত্রী মানলা না। কেন মানল না?
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০