খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সন্তান প্রসবে অপ্রয়োজনে সিজার করলে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে। রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ হুঁশিয়ারির কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোগী সিজারিয়ানের উপযোগী না হওয়া সত্ত্বেও কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন তাহলে তাদের জরিমানাসহ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সিজারিয়ান অপারেশন নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিজার হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতেও এ হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এটা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে একটি ফরম করেছি। যদি কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান হয় তাহলে তার বিষয়ে বিস্তারিত জবাবদিহি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীর কোন কোন সমস্যার কারণে সিজার করা হলো তা উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সিজার প্রবণতা কমানোর লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন তথ্যসংবলিত একটি ফরম পাঠানো হয়েছে। ফরমে মায়ের স্বাস্থ্য সংবলিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট রোগী সিজারিয়ানের উপযোগী কিনা। কোথাও এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক বা হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, শিশুদের মায়ের দুধ পানের সুযোগ দিতে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেস্টফিডিং জোন করা হবে।
প্রসঙ্গত, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকলে পেট কেটে সন্তান বের করে আনা হয়। একে বলে সিজারিয়ান অপারেশন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে কোনো রকমের ঝুঁকি ছাড়াই এ অপারেশন করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০