খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: দায়িত্ব নিয়েই বড় চমক দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর হাত ধরে কংগ্রেসে নাম লেখালেন উত্তর প্রদেশের দুই রাজনীতিবিদ। যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ। অপরজন লোকসভার প্রাক্তন সদস্য।
একই সঙ্গে লোকসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। পদ্মের সঙ্গে ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালেন সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলে। যিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাহরাইচ বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন।
অন্যদিকে সাবিত্রীদেবীর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ রাকেশ সাচন। যিনি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ফতেপুর কেন্দ্র জিতে সাংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য হয়েছিলেন। এদিন এই দুই ব্যক্তিই কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। শনিবার এই দু’জনকে ভারতের সর্বাধিক প্রাচীন রাজনৈতিক দলে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। নয়াদিল্লির ২৪ নম্বর আকবর রোডে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দফতরে হয় এই দলবদল।
দেশের সব থেকে বড় এবং বিতর্কিত রাজ্য হচ্ছে উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যের রাজনীতির উপরে সমগ্র দেশের রাজনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। উত্তর প্রদেশের রাজনীতিও বেশ রঙীন। যা আরও বৈচিত্রময় হয়েছে যুযুধান দুই পক্ষ সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি একজোট হওয়ায়।
সেই রাজ্যেরই দুই রাজনৈতিক নেতার দল বদল করে কংগ্রেস যোগ দেওয়া নিঃসন্দেহে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। যাদের মধ্যে একজন আবার বর্তমান সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলে। গত ডিসেম্বর মাসের ছয় তারিখে বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কেন্দ্রের শাসক বিজেপি ভেদাভেদের রাজনীতি করে এবং দরিদ্রদের সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কিছুই করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সাবিত্রী বাই ফুলে। এদিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তিনি বলেছেন, “দেশের সংবিধান বাঁচাতে আমি কংগ্রেস যোগ দিয়েছি। দেশে বিজেপির উত্থান ঠেকাতে আমি কংগ্রেসের হাত শক্ত করার কাজ করব।”
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০