শেষ বলের নাটকীয়তায় রাজস্থানকে হারাল হায়দরাবাদ।
তবে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে লড়েছেন জস বাটলার পাঁচ রানের জন্য স্পর্শ করতে পারেননি শতক।
পাশাপাশি সাঞ্জু স্যামসনের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। রান তাড়ায় নেমে শুরুতে দারুণ করলেও, শেষদিকে খেই হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
তবে শেষ বলের নাটকীয়তায় ঠিকই জয় তুলে নেয় তারা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে হায়দরাবাদ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হায়দরাবাদ। শেষ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন আবদুল সামাদ।
ইয়াসাবি জাইসাওয়াল ও জস বাটলারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় রাজস্থান। ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৮ বলে ৩৩ রান করা জাইসাওয়ালকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন। এরপর বাটলারকে সঙ্গ দিয়ে সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন সাঞ্জু স্যামসন। দুইজনে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। ৩২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন বাটলার। স্যামসনের লাগে ৩৩ বল।
সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা বাটলার শেষদিকে গিয়ে পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন। ৫৯ বলে তার ৯৫ রানের ইনিংসটি গড়া ছিল ১০ চার ও ৪ ছক্কায়। স্যামসন অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৬৬ রান করে। রাজস্থান অধিনায়কের ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪ চার ও ৫ ছক্কায়।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে হায়দরাবাদের হয়ে শুরুটা ভালো করেন আনমলপ্রিত সিং ও অভিষেক শর্মা। ৩৫ বলে তাদের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। আনমল বিদায় নেন ৩৩ রান করে। এরপর অভিষেককে সঙ্গ দেন রাহুল ত্রিপাঠি। দুইজন গড়েন ৬৫ রানের জুটি। অভিষেক হাঁকান ফিফটি; ৩৩ বলে। আর পাঁচ রান যোগ করতেই অবশ্য বিদায় নিতে হয় তাকে।
চারে নামা হেনরিক ক্লাসেন এসে ঝড়ো শুরু করেন। তবে ১২ বলে ২৬ রান করতেই উইকেট হারান তিনি। কিছুক্ষণ পর লড়তে থাকা ত্রিপাঠিও বিদায় নেন ৪৭ রান করে। এরপর গ্লেন ফিলিপস এসে খেলেন ৭ বলে ২৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তবে জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ পর্যন্ত।
শেষ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন সামাদ। তিনি অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১৭ রান করে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০