নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর বিভিন্ন আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীদের। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর মালোপাড়ায় অবস্থিত নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেন রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক, মিনু ও শফিকুল হক মিলন। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের এমপি প্রার্থীর সমর্থকরা তানোর-গোদাগাড়ীর সব নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। পুলিশ দিয়ে দুই উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। এমনকি আমার গাড়ী থেকেও নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। তাদের গায়েবী মামলায় চালান দিচ্ছে। তারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। নির্বাচনী সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন বলেন,
তানোর-গোদাগাড়ীতে এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আ’লীগ নেতাকর্মীদের তান্ডব ও প্রশাসনের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা হয়। তারা জনগনের সেবক। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না করে প্রশাসন নৌকা প্রতীকের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। গ্রেফতারী পরোয়ানা না থাকার পরেও গোদাগাড়ী থানা বিএনপির সভাপতিসহ অন্যদের জোরপূর্বক আটক করে পুলিশ। গতরাতেও পুলিশ নেতাকর্মীদের আটক করেছে। এ ছাড়া তানোরের নেতাকর্মীদেরও আটক করেছে পুলিশ। তাদের গায়েবী মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমি দুই বার মন্ত্রী চারবার এমপি ছিলাম। আমি কখনো প্রশাসনের কর্মকর্তা বা সরকারী কর্মচারীদের কটু কথা বলিনি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইর্ডি অফিসার, সহ প্রিজাইর্ডি অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রশাসরে সমস্ত ব্যক্তিদের সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার আহবান জানান তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রচারণা থেকে সরে গেছি এ বিষয়ে আ’লীগ মিথ্যাচার করেছে। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। গতকালও ছিলাম। রাজশাহী-২ সদর আসনের বিএনপি মনোনীত
প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এ পর্যন্ত ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তার রাসিকের সাবেক মেয়র বুলবুলসহ অন্যান্য নেতাদের আটক করার চেষ্টা করছে। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা হবে। জনগন সুষ্ঠ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। ৩০ তারিখের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিনু বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনর পক্ষপাত মূলক অথর্ব নির্বাচন কমিশন। কমিশনের শুভ বুদ্ধিয় উদয় হোক। বিএনপি প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। রাজশাহী-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, পবা-মোহনপুরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিএনপির অফিস ভাংচুর ও পোস্টার কেটে ফেলছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। ৩০ তারিখে প্রয়োজনী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামা হবে। সেই দিনই হবে আসল খেলা। সবার প্রতি আকুল আবেদন
মানুষকে ভোট দিতে দিন।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কামরুল মনির, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি ও রাজশাহী -১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত প্রমূখ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০