জাহাঙ্গীর ইসলাম,শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে সয়লাব হয়ে গেছে বগুড়ার শেরপুর । বিলের কাগজে ব্যবহৃত ইউনিট শুন্য দেখালেও বিলের জায়গায় লেখা হয়েছে ৯২২ টাকা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। অফিস কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে বিলের কাগজ ঠিক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভুতুড়ে বিলের কোন সুরহা হচ্ছেনা গ্রাহকের।
উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে আবু সাঈদের বিলের কাগজে দেখা যায়, গত জুন মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ৭৪৫০। জুলাই মাসের ১২ তারিখে বিল প্রস্ততির দিনও ব্যবহৃত ইউনিট লেখা হয়েছে ৭৪৫০। অথচ বিলের কাগজে মোট বিল লেখা হয়েছে ৯২২ টাকা। পরবর্তি আগস্ট মাসে ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৭৭২০ আর ১১ আগস্ট ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৭৮৭০ ইউনিট। অর্থাৎ আগস্ট মাসের বিল দেয়া হয়েছে ১৫০ ইউনিটের ৮২২ টাকা। এমন তালবেতাল ভুতুরে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা।
গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের আলহাজ¦ নুরনবী বলেন, আমার বাড়ির আবাসিক বিলে গত মে মাসে বিল এসেছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। জুন মাসে এসেছিল ৬ হাজার ৩০ টাকা। বিলের কাগজ ঠিক করে দিতে বললে অফিস কর্তৃপক্ষ আমার সমুদয় বিল নিয়েছে। এ রকম অবস্থা দেখে মিটার পরিবর্তনের আবেদন দিয়েছি। কিন্তু এখনো তারা মিটারটি পরিবর্তন করে দেয়নি। শুধু আবু সাঈদ ও নুরনবী নয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভুতুরে বিল নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আবু সাঈদ বলেন, আমি প্রায় ৮ বছর আগে বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নিয়েছি। কোনদিনও ৩০০ টাকার বেশি বিল দিতে হয়নি। অথচ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সেই একই আছে অথচ বিল আসছে ৮০০ টাকারো বেশি। এরকম ভাবে চলতে থাকলে আমরা দিশেহারা হয়ে পরব। খুব দ্রæত কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জাকিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গ্রাহক আমাদের কাছে আসলে তা দ্রুত সমাধান করে দেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০