1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শেরপুরের ৬ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৫ মাসের ভাতা ও বোনাস পায়নি - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

শেরপুরের ৬ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৫ মাসের ভাতা ও বোনাস পায়নি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর (বগুড়া): বগুড়ার শেরপুরে ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গত ৫ মাসের সম্মানী ভাতা ও একটি ঈদ বোনাস পায়নি । সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তাদের হালনাগাদ তথ্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠানো হলেও কোন সুরহা মিলছেনা এ বিষয়ে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ওই ৬ পরিবার হাতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমি বক্সের ছেলে বীর মুক্তযোদ্ধা মৃত আব্দুস সাত্তারের (গেজেট নং সেনা-১৪৬৪)অনুকুলে তার স্ত্রী মোছা. তারা বেগম, নারগিস বেগম, হারেজা বেগমের নামে প্রতিস্থাপন, কল্যানী গ্রামের হরিব›দ্ধ পালের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মনমত পালের (গেজেট নং-১৭৮৯) অনুকুলে তার সন্তান, উজ্জল কুমার

পাল, শিল্পী রানী পাল, সুজালা রানী পালের নামে প্রতিস্থাপন, পৌর শহরের রামচন্দ্রপুর পাড়ার মৃত আফজাল হোসেন ভুইয়ার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস রাজ্জাক ভুইয়ার (গেজেট নং-১৮৭১)অনুকুলে তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম, সন্তান রুহুল আমিন ভুইয়া, রোজিনা খাতুনের নামে প্রতিস্থাপন, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের মৃত সামছ উদ্দিন সরকারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা

মৃত আশরাফ উদ্দিন সরকার মুকুলের (গেজেট নং-১৮১০) অনুকুলে তার স্ত্রী সফিকা সুলতানার নামে প্রতিস্থাপন, মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মৃত রসুল বক্সের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমিরুল ইসলাম খানের (গেজেট নং-২৫২৪) অনুকুলে তার স্ত্রী মিনা বেগমের নামে প্রতিস্থাপন এবং খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আকিম উদ্দীনের (গেজেট নং-১৮২৯) অনুকুলে তার স্ত্রী মোছা. রোকেয়া খাতুনের নামে প্রতিস্থাপিত এক্যাউন্ট মুঞ্জুর হয়।

২০২০ সালের জুন মাস থেকে তারা সম্মানী ভাতা ও একটি উৎসব ভাতা পেলেও জানুয়ারী মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত সম্মানী ভাতা, একটি উৎসব ভাতা ও একটি বৈশাখী ভাতা পাননি। কি কারণে তারা এই ভাতা পাননি তা জানা নেই তাদের। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ওই ৬ পরিবার হাতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার।

এ বাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক বলেন, আমাদের কাছে ইতিপূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য ম্যানুয়ালী বরাদ্দের চিঠি আসত। আমরা এখান থেকে বিল পাশ করে স্ব স্ব এক্যাউন্টে পাঠাতাম। কিন্তু ২০২০ সালে অনলাইনের মাধ্যমে সকলের এক্যাউন্টে আসে। এখানে আমাদের কোন কাজ নেই। আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি প্রতিস্থাপিত ওই ৬ জনের হালনাগাদ তথ্যও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ওখানে কি সমস্যা আছে তা আমরা জানতে পারিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও বোনাসের টাকা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। আমাদের এখানে ওই বিষয়ে কোন কাজ নেই। তাই কারা ভাতা পাচ্ছেন কারা পাচ্ছেন না সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি সুরহা করার জন্য আমি জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের কাছে উপস্থাপন করবো।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST