ওমর ফারুক: বছর ঘুরে আবারো দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর এই শীতের হাত থেকে বাঁচতে সাধ্য অনুযায়ী লেপ-তোষক কিনছেন রাজশাহী মহানগর ও জেলার আশেপাশের উপজেলার মানুষ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতাদের ভিড় বাড়ায় এখন লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারিগররা লেপ-তোষক তৈরি করছেন। ক্রেতারাও পছন্দ অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে লেপ ও তোষক তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে গত সপ্তাহের শুরুর দিক থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেশি বেড়েছে। এর আগে তেমন ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গছে, চলতি নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখের পর
থেকে রাজশাহীজুড়ে শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। পূর্বের তুলনায় তাপমাত্রাও কমেছে। সকাল ও বিকেলে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাতের বেলা এই ঠাÐা থেকে রক্ষা পেতে রাজশাহী মহানগর ও জেলার আশেপাশের উপজেলার মানুষ সাধ্য অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মোটা ও দামী কম্বল কিনছেন ও পুরানো গুলোও সারিয়ে নিচ্ছেন। শীতের অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে মানুষ লেপ ও তোষক তৈরি করছেন। রাজশাহী অঞ্চলে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার তুলনায় বেশি শীত পড়ে। আর শীত থেকে রক্ষা পেতেই এই অগ্রিম প্রস্তুতি মানুষজনের।
সকাল ও সন্ধ্যায় শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন লেপ ও তোষক তৈরির কারিগরদের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করে। গত কয়েকদিনের তুলনায় বর্তমানে আরো বেশি লেপ-তোষক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার কারণে কারিগররাও বছরের অন্যান্য সময়ের
তুলনায় বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারিগররা কাজ করছেন। মঙ্গলবার সরজমিনে রাজশাহী মহানগরীর গণকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত কারিগরদের দোকানের সামনে গিয়ে দেখা যায়, তারা লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমান সময়ে ক্রেতারা বেশি লেপ ও তোষক তৈরি করছেন। লেপ তৈরি করতে আসা নাইমা নামের এক নারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীত প্রায় চলেই এসেছে। শীতের অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ ও তোষক তৈরি করে নেয়ার জন্য এসেছি। যাতে শীতের সময় আর কষ্ট পোহাতে না হয়। সাধ্য অনুযায়ী লেপ তৈরি করিয়ে নিচ্ছি।
রাইসুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, শীত বেশি না পড়লেও গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা শীত বেড়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই শীত বেশি পড়তে পারে। সেই জন্যই লেপ ও তোষক তৈরি করতে এসেছি। শুধু তারাই নয় আরো অনেক ক্রেতা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কারিগরদের দোকানে ভিড়
জমাচ্ছেন। সাইফুল নামের এক কারিগরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ মাসের শুরুর দিক থেকে লেপ ও তোষক তৈরি শুরু হলেও বর্তমানে কাজ বেশি হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ায় ব্যস্ততাও বেড়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে শীতের আগ মুহূর্তে আয়-রোজগারও বেশি হয়। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের ২০ নভেম্বর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৫ নভেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০