খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে তুলে স্কুলে পাঠান। এদের মধ্যে তৃতীয় শক্তি ঢুকে পড়েছে। তৃতীয় শক্তি মানুষ না। এরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই। অভিভাবক শিক্ষকদের বলব, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের। তাদের লেখাপড়া শেখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবে, পড়াশুনা করবে।
আজ রবিবার সকালে গণভবনে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শঙ্কিত। গত কয়েকদিন ধরে তারা যা ইচ্ছে করেছে। তাদের অনুভূতি আমি বুঝি। কিন্তু যথেষ্ট হয়েছে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি যথেষ্ঠ ধের্য্যের পরিচয় দিয়েছে। মন্ত্রী-এমপি সবাই তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। তাদের কোনো বাধা দেয়নি। আমি বলেছি ওরা যাই করুক ধৈর্য ধরতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া সব মেনে নেয়া হয়েছে। আশা করছি তারা ঘরে ফিরে যাবে। তাদের মূল দায়িত্ব পড়াশুনা করা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে শুধু বঙ্গবন্ধু কিংবা একজন রাষ্ট্রনেতাকে হত্যা করা হয়নি, একটি স্বাধীন দেশের আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীন দেশের ভাবমূতি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের অর্জনকে ধরে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সবাইকে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক আইনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে এটি সংসদে পাশ করা হবে। আমাদের হাইওয়ে হয়েছে। চালকরা যাতে পথিমধ্যে বিশ্রাম করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চালকের সহকারীকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির শিক্ষা না নিলে আমরা পিছিয়ে থাকবো। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবো না। আমরা ২৫ হাজার পোর্টাল দিয়ে তথ্য বাতায়ন খুলেছি। আমরা মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। ভর্তি, চাকুরির আবেদন, বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে যাবতীয় যোগাযোগ এখন অনলাইনে করা যায়। আমরা পোস্ট অফিসগুলোকেও আরও উন্নত করার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।
তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী, নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না। মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। প্রযুক্তি ভালো কাজে ব্যবহার করবেন, নোংরা কাজে নয়। এখন ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে যে পড়তেও লজ্জা করে। জীবনকে সুন্দর করার কাজে, শিক্ষা গ্রহণে, ভালো কাজে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। বাজে কাজে নয়।
গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে সারা দেশে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। পথচারী-চালক সবাইকে ট্রাফিক আইন মানতে হবে। স্কুলেই শিশুদের ট্রাফিক আইন শেখাতে হবে। রাস্তায় দৌড় মারা যাবে না। এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হলে দায়টা কে নেবে?
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০