খবর২৪ ঘণ্টা. ডেস্ক: বেতন স্কেলে বৈষম্য কমানোর দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে রয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষক।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। রাতেও শিক্ষকেরা শহীদ মিনারে অবস্থান করেছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকদের আটটি সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
রাজশাহীর দুর্গাপুরের তেবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আখলাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আগে সহকারী শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচের গ্রেডে বেতন পেতেন। কিন্তু এখন সহকারী শিক্ষকেরা তিন ধাপ নিচের গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এখন প্রধান শিক্ষক পান ১১তম গ্রেড আর সহকারী শিক্ষক পান ১৪তম গ্রেডে বেতনম যা তাঁদের জন্য অপমানজনক ও বৈষম্যমূলক। তিনি বলেন, তাঁরা চান প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাঁদের বেতনের পার্থক্য যেন ১ গ্রেড হয়।
নেত্রকোনার বারহাট্টার সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ২০ বছর চাকরি করার পর একজন সহকারী শিক্ষক যে বেতন পান, একজন প্রধান শিক্ষক চাকরির শুরুতেই সেই বেতন পান। এর ফলে পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা বৈষম্যের শিকার হন।
মহাজোটভুক্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন বলেন, ব্যবধান কমানোর জন্য আগে আশ্বাস দেওয়া হলেও দীর্ঘদিনেও তা পূরণ করা হয়নি। এ জন্য আমরণ অনশন ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনো উপায় নেই।
শিক্ষক সমাজের অপর এক অংশের সভাপতি তপন কুমার মণ্ডল বলেন, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন ভাঙবেন না। অনশনে কয়েক হাজার সহকারী শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
আজ দুপুরে শহীদ মিনার গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক হাজার শিক্ষক সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে অনশনে অংশ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের অনশনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০