খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশিদের জন্য গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার বড় সুযোগ। নির্বাচনটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে।
ঢাকায় পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া আর্ল রবার্ট মিলার তার নিয়োগ চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত মার্কিন সিনেটের শুনানিতে এসব কথা বলেন।
গত ২৩ আগস্ট সিনেটের শুনানিতে দেয়া বক্তৃতায় মিলার বলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে অবশ্যই সব দলকে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, বিরোধীদল ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের অবশ্যই মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। পালটা কোনো শাস্তির ভয় ছাড়াই তারা যেন পরিস্থিতির পরিবর্তনে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা আর্ল মিলার বলেন, ঢাকায় দায়িত্ব পালনরত রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব পক্ষের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে চলেছেন।
চূড়ান্তভাবে আমাকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেয়া হলে, আমি আমার পূর্বসূরী বার্নিকাটের রেখে যাওয়া প্রশংসনীয় দৃষ্টান্তগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রে সাম্প্রতিক পটপরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে আর্ল মিলার বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রতিক হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে কাজ করার প্রতিশ্র“তিও ব্যক্ত করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে। মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিকে সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে হয়। শুনানির ভিত্তিতেই সিনেট সদস্যরা মনোনীত ব্যক্তি নিয়োগ চূড়ান্ত বা প্রত্যাখ্যান করে থাকে। অবশ্য হোস্ট কান্ট্রির তরফে তাকে (মনোনীত ব্যক্তিকে) গ্রহণে অনাপত্তির (এগ্রিমো) বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়। সিনেটের সবুজ সংকেত পেলেই প্রেসিডেন্ট মনোনীত ব্যক্তির নিয়োগ চূড়ান্ত করেন।
সেগুন বাগিচার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া আল মিলারের গ্রহণে অনাপত্তি সংক্রান্ত নোট ভারবাল এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সিনেটের গ্রিন সিগনাল পেলেই বিশ্বের আটটি দেশে কূটনৈতিক অ্যাসাইনমেন্টে কাজ করা মিলার তার ঢাকা মিশন শুরু করবেন। সিনেট শুনানিতে অংশ নিয়ে মিলার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে এগিয়ে নেবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় সঙ্কট রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকাকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০