সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শওকত মাহমুদকে বিএনপি’র ক্ষমা, পর্যবেক্ষণে হাফিজ

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ২৯, ২০২০ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শওকত মাহমুদ। তাকে দেওয়া শোকজের জবাব দেওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠানো হয়। গত রবিবার শওকত মাহমুদের হাতে একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে তাকে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। দলের নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়, এমন কোনো কাজ না করতে বলা হয়। তবে আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। তার কর্মকাণ্ড আরও পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড।

সূত্র জানায়, চিঠিতে দলের প্রতি আনুগত্য থাকার বিষয়ে শওকত মাহমুদকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে দলের কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে না যাওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। চিঠি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জানতে চাইলে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, দায়িত্ব পালনে অপারগতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ সম্পর্কিত কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব ১৯ ডিসেম্বর দিয়েছি। এরপর দলের কাছ থেকে কোনো উত্তর পাইনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নীতিনির্ধারক জানান, হাফিজউদ্দিনের বিষয়ে আরও সময় নিতে চান তারা। অতীতসহ তার বর্তমান কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কী চান তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করে হাইকমান্ড সন্তুষ্ট হলে তাকেও চিঠি দিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।

ওই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, শোকজের বিষয়ে হাফিজউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে অধিকারও তার আছে। কিন্তু লিখিত জবাবের শেষে তিনি দলের জাতীয় কাউন্সিলের আহ্বানসহ চার দফা সুপারিশ করেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় যারা জিয়া পরিবারের পাশে ছিলেন তারা এ বিষয়টি আবারও সন্দেহের চোখে দেখছেন। যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেছেন, তার সুপারিশকে অনেকে সেভাবে দেখছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ (অব.) ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেয় বিএনপি। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ওই শোকজে স্বাক্ষর করেন। দলের নাম ব্যবহার করে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে জন্য শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে বিএনপির দুই নেতাই শোকজের জবাব দেন।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।