আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জন ভোট দিয়েছে। এবং মিয়ানমারের সরকারকে রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কানি দেওয়ার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা মামলায় ১০ ডিসেম্বর থেকে ৩ দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শুনানি হয়। শুনানির প্রথম দিনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে মামলার বাদী গাম্বিয়া। শুনানির দ্বিতীয় দিনে আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। রাখাইনে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে সাফাই গান তিনি। আদালতে মিথ্যাচার করে সু চি বলেন, রাখাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরই, বিচ্ছিন্নতাবাদ দমাতে অভিযান চালানো হয়, এর জেরে কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বর্তমানে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা নিধনের উদ্দেশ্যে মিয়ানমার সরকারই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী-আরসা সৃষ্টি করেছে। যার মাধ্যমে এখন সূ চি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী ১১ নভেম্বর বিষয়টি প্রকাশ করেন। ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা করে গাম্বিয়া।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তাচৌকিতে সন্ত্রাসীদের হামলাকে অজুহাত দেখিয়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নৃশংসতা শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন থেকে বাঁচতে পরের কয়েক মাসে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ এই নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে।
জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০