ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে দুই লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি বসতবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি বসতবাড়ি। এছাড়া ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো–অর্ডিনেশন সেন্টারের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। প্রবল ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় উপকূলবর্তী ১৯ জেলা। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় অনেক এলাকা।
সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রেমালের আঘাতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ মানুষ।
দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে খুলনা জেলায়। এই জেলায় ২০ হাজার ৭৬২টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায়।
দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সবশেষ তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও পিরোজপুরে।
বিএ..
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০