খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: ভারতে এখনও মেয়ের বিয়ে হয় সৌন্দর্যের পাশাপাশি, তার সাংসারিক কর্মদক্ষতা দেখে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা যতই দাবি করি না কেন এগিয়ে চলার, আসলে এখনও মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে গায়ের রং থেকে হেঁশেল সামলানোর ক্ষমতা পর্যন্ত বুঝে নেন শ্বশুরবাড়ি। সঙ্গে রয়েছে কোষ্ঠি বিচারও।
তবে নারী দিবসের আগে, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার রীতি সম্পূর্ণ এক অন্য নজির রাখল দেশের সামনে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সোলাপুরের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার রীতি সম্পূর্ণ অন্য। এখানে দিনে কে কটা বিড়ি বাঁধতে পারেন, তার উপরে নির্ভর করে কে কত যোগ্য পাত্রী!
খবরে আরও জানা গিয়েছে, ১৯ বছরের রাধা দানেওয়ালে সোলাপুরের সবচেয়ে সুযোগ্যা পাত্রী। দিনে প্রায় ১০০০ বিড়ি বাঁধেন রাধা। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘‘আমি আমার স্কুল জীবন থেকেই এই কাজ করছি। মায়ের থেকেই শিখেছি, কী করে বিড়ি বাঁধতে হয়। কিন্তু, আমি বিয়ে নিয়ে একদমই চিন্তিত নয়।’’
সোলাপুরের বিড়ি ফ্যাক্টরি প্রত্যেক কর্মীকে একটি করে ‘বিড়ি কার্ড’ দেয়, যেখানে প্রত্যেক কর্মীর কর্মদক্ষতা এবং প্রত্যেক দিনের কাজের হিসেব লেখা থাকে। রাধা দানেওয়ালে দিনে এক হাজার বিড়ি বেঁধে আয় করেন মাত্র ১৪০ টাকা। তবে এটাই সবচেয়ে সেরা হিসেব বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, সোলাপুরের মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ অত্যন্ত কম। তাই বিড়ি বাঁধাই তাঁদের একমাত্র ভরসা।
২১ বছরের প্রিয়ঙ্কা মাডগুন্ডি জানান, ‘‘কলেজ পাশ করার পরে চাকরির সুযোগ নেই। তাই এই পেশাকেই বেছে নিয়েছি।’’
সোলাপুরের প্রাক্তন এমএলএ নরসায়া আদম জানান, ‘‘এখানে অনেক চিনির ফ্যাক্টরি থাকলেও, সেখানে মহিলাদের কাজের সুযোগ নেই। তাই অনেক মহিলাই বংশ পরম্পরায় বিড়ি বাঁধাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।’’
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০