নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট নার্সিং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপে দীর্ঘদিন ধরে চরম বৈষম্য হয়ে আসছে। রহস্যজনক কারণে এ হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ। তবে এ বৈষম্য দূর করে দ্রুত ইন্টার্নশিপ চালুর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ডাকযোগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে তারা এ দাবি জানান।
এর আগে একই দাবিতে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, রামেক হাসপাতাল পরিচালক এবংও সিভিল সার্জনের কাছেও স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করলেও রামেক হাসপাতালে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। চার বছর মেয়াদি বিএসসি নার্সিং ও তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করার পর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ৬ মাস বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ করতে হয়। রাজশাহী নার্সিং কলেজ (সরকারি) থেকে বিএসসি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেন। তারা প্রতিজন মাসিক ৬ হাজার টাকা করে ইন্টার্ন ভাতাও পান। একইসঙ্গে বেসরকারি নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও ইন্টার্নশিপ করে আসছেন রামেক হাসপাতালে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ এ হাসপাতালে বন্ধ রাখা হয়েছে। যা স্পষ্টত বৈষম্য ও অবিচার।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, রামেক হাসপাতালে শত শত রোগী ভর্তি হন। বিএসসি শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেলে রোগীরা আরও সেবা পাবেন। তাছাড়া বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালে নার্সিং শিক্ষার্থীরা ডিউটি, প্র্যাকটিস ও ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা এর অবসান চাই। স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না।
এ বিষয়ে রাজশাহী নার্সিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সম্প্রতি নার্সিং আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার হাসান ফাহিম বলেন, ‘আমরা কোনো বৈষম্য মানবো না। আমরা ইন্টার্ন করতে পারলে রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের আমাদের সহপাঠীদেরও ভাতার ব্যবস্থা করে আমাদের সঙ্গেই রামেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করতে দিতে হবে। অন্যথায় আবারও কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।’
এ ব্যাপারে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমি পজিটিভ। তবে এটি আমার একক সিদ্ধান্তে সম্ভব নয়। ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিষয়টি তুলে ধরবো, তারা সম্মতি দিলে সম্ভব। তবে কমিটি বর্তমানে নেই, গঠন হওয়ার পর এটা সভায় তুলে ধরবো। অবশ্য স্বাস্থ্য সচিব বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তাদের ইন্টার্নশিপ চালু করা যাবে।
বিএ..
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০