রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া সেই মর্টার শেলটি সক্রিয় ছিলো। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি এলাকায় বিষ্ফোরণ ঘটান সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় প্রচন্ড শব্দে চারপাশ কম্পিত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যপক ড. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, বেলা ১২ টার দিকে বগুড়ার মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্যাপ্টেন মিনহাজের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি এলকায় উপস্থিত হন।পরে রাবি সংলগ্ন হরিজন পল্লীর রাস্তার পাশে ৩/৪ ফিট একটি গর্ত খোড়া হয়। সেখানে মর্টার শেলটি রেখে তার সংযোগের মাধ্যমে বধ্যভূমি এলাকার পুলিশ বক্স থেকে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলটি পাক সেনাবাহিনীদের টর্চার সেল ছিলো। সেখানে সাধারণ মানুষকে এনে নির্যাতন করা হতো। পাশে একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে। সেকারণে এই ধরনের আরও মর্টার শেল এ স্থানটিতে থাকতে পারে, আমরা বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলটিকে অুনরোধ জানাবো স্থানটি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখবার জন্য এবং সেগুলো ধংস করার জন্য।
এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকের বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্জোহা হল পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে মর্টার শেলটি পান স্থানীয় মেহেরচন্ডী এলাকার মাছ চাষী শরীফ। পরে তিনি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে একটি জব্দ তালিকা তৈরি করে শেলটি ঘিরে রাখে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০