নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যবসায়ী। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। তিনি ২৪ তম বিসিএসে ২০০৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয় যোগদানের আগে তিনি জয়পুরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ে এসপি হিসেবে যোগদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর নিকটাত্মীয় ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর আগে বেলায়েতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তার সঙ্গে বাদীর সম্পর্ক ভালো হয়। বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অর্থের প্রতি আসামির কুনজর পড়ে। ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট বাদীর বাবার কাছ থেকে নিয়ে বেলায়েতকে ৫ লাখ টাকা ঋণ দেন। পরে ঋণের টাকা বেলায়েত চেকের মাধ্যমে ফেরত দেন।
২০২০ সালের ৪ এপ্রিল বেলায়েত বাদীর বাবাকে ফোন করে বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের (বাদী) অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক আসামিকে দেন। ১০ এপ্রিল বাদীর বাবা ও সাক্ষী কথা বলে জানতে পারেন, ব্ল্যাকমেইল করে চেকটি আসামি নিয়ে যায়।
৮ আগস্ট বেলায়েতসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জন ডিবি নামধারী পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর বাসায় প্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে এবং নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রামমাণ আদালত নিয়ে জরিমানাসহ জেলে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বাদী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং বার বার আসামি বেলায়েতকে বলেন, ‘আপনি আমাদের কাছের লোক, কী বলছেন?’ তখন আসামি বেলায়েত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং টাকা দিতে না পারায় মারপিট করে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বাদীকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলেন। নতুবা ক্রসফায়ার অথবা ফেনসিডিলসহ অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। তখন বাদী সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামি বেলায়েতের হাতে তুলে দেন এবং ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা দেন। আসামির সঙ্গে ১৫ লাখ টাকায় রফা-দফা করে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার চেক দিয়ে সমন্বয় করেন। আরও ৬ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে বলেন। তা না হলে বাদীর ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন বেলায়েত।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয় এসপি বেলায়েত হোসেনের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার বিপিএম বার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এখনো কাগজ হাতে পাইনি।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০