নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত মাস থেকে রাজশাহীসহ সারাদেশে অবৈধ ও ফিটনেস বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করছে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে চালকরা ছাড় পাচ্ছেন আর কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে সেই গাড়ী জব্দ করা হচ্ছে। সেই সাথে যানবাহনের কাগজপত্র ফেল থাকলে মামলা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট না থাকলেও মামলা দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রাজধানী ঢাকার পর এবার রাজশাহীতেও হেলমেট ছাড়া চালককে তেল দেওয়া হবে না এমন নির্দেশনা দিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশেষ করে ট্রাফিক সচেনতনা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিট পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। উদ্দেশ্য একটাই জনগনের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে দুর্ঘটনা কমানো।
এমতবস্থায় পুলিশের মামলা খাওয়ার ভয়ে গাড়ীর মালিকরা ছুটছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ’তে। গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস ও নবায়নসহ বিভিন্ন আবেদন পড়ছে। পূর্বের থেকে বর্তমান সময়ে দুই থেকে তিন গুণ আবেদন বেশি পড়ছে। একমাস আগে যেখানে প্রতিদিন সবমিলিয়ে ৩০০ আবেদন জমা পড়তো বর্তমানে সেখানে প্রতিদিন ৭০০ শতাধিক এর উপরে আবেদন জমা পড়ছে। আগের থেকে আবেদন বেশি পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজও বেড়ে গেছে। স্বল্প জনবল নিয়ে এত আবেদনের কাজ করতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ রাজশাহী বিআরটিএ আঞ্চলিক অফিস হলেও প্রয়োজনের তুলনায় এখানে জনবল অপ্রতুল। কম জনবল নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সকাল ৯টার আগেই লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাশীরা কার্যালয়ের সামনে এসে ভিড় জমাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ চেকপোস্ট করা ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চেকপোস্ট করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয় চেকপোস্টের ভয়ে অনেক বাস বন্ধ রয়েছে। ফিটনেসের জন্য আবেদন করা হচ্ছে। বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান শুরু করেছে। সেই সাথে সব শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিআরটিএ’র উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা মূলক নাগরিক কর্তব্য শীর্ষক কর্মশালা করা হচ্ছে। বিআরটিএ থেকে যানবাহনকে ফিটনেস দিতে যেসব দেখা হয় তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, টায়ার ঠিক আছে কিনা, ইনডিকেটর লাইট ঠিক আছে কিনা, রং ঠিক আছে কিনা, গ্লাস ঠিক আছে কিনা, ব্রেক সিস্টেম ঠিক আছে কিনা দেখা হয়। এসব জিনিস ঠিক থাকলে বিআরটিএ থেকে ফিটনেস দেওয়া হয়। রাজশাহী বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক এ.এস.এম কামরুল হাসান বলেন, পূর্বের থেকে বর্তমান সময়ে রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স ও ফিটনেসের জন্য যানবাহন মালিকরা আবেদন করছে। যেখানে প্রতিদিন ৩০০ আবেদন পড়তো সেখানে বর্তমানে ৭০০ শতাধিকের উপর আবেদন পড়ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের চাপ বেড়েছে। ট্রাফিক বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা করা হচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০