নোটিশ ছাড়াই চিকিৎসকদের ছাটাই ও ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (আইবিএমসি) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। এতে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। আজসোমবার সকাল নওদাপাড়ায় আইবিএমসিতে এই কর্মসূচি পালন করেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
চিকিৎসক মহিবুল হাসান জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভেতরে ৮ থেকে ১০ জন চিকিৎসক আটকা পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ ছাড়াই ৭-৮ জন চিকিৎসককে ছাটায় করেছে।
চিকিৎসকরা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন বলেন, ২০০৩ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮ বছরেও কোন চাকরী বিধিমালা তৈরি হয়নি। সিনিয়র শিক্ষকদের চাকরিতে যোগদানের সময় স্বল্প সময়ের (৬ মাস) চুক্তিবন্ধ করা হয়। চুক্তির মেয়াদ খেয়াল খুশিমত নবায়ন করা হয়। নিয়োগপত্র শর্ত অনুযায়ী ১ মাসের আগাম নোর্টিশ ছাড়াই অসম্মাজনকভাবে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, বিভাগীয় সিনিয়র অধ্যাপকের স্বপ্লতা থাকা সত্তে¡ও চাকরি নবায়ন করা হয় না।
৬ বছর যাবত কোন বেতন স্কেল পরিবর্তন করা হয়নি। সেই জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরে সবার বেতন সরকারি বেতনের চেয়ে অনেক কম। কর্মচারীরা যে বেতন পান তা এ দ্রব্য মূল্যের বাজারে নিতাস্তই অপ্রতুল। অফিস সময়ে বাইরে কর্মচারীরা কোথাও পার্টা টাইম চাকরি করে তাদের আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও সামাধান করতে পারে কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে চুড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
নিয়মিত নিয়োগ ও পদ্দোন্নতি কমিটির সভা হয়না। এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও দীর্ঘদিন যাবত একই পদে চাকরি করতে বাধ্য হন। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। নিয়মিত নিয়োগ না হওয়ায় অনেক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। এতে করে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মিড লেভেল শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিত না হওয়ায় তারা ইনক্রিমিন্ট ও বোসান পান না। চাকরিতে সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগের সময় বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে বিভিন্নভাবে চুক্তি করা হয়।
পরে চুক্তিকৃত বেতন ইচ্ছামত কতন করা হয়। যেমন এখনে নয় মাস যাবত বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষকদের টেকনিক্যাল ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের অর্জিত ছুটি এবং হজ্ব পালনকালীন কোন ছুটি নাই। অসুস্থতাজনিত ছুটি সাত দিন। কিন্তু তা নৈমিত্তিক ছুটি শেষ হবার পরে পাওয়া যায়। মাতৃকালীন ছুটি ২ মাস। যেখনে সরকারী নিয়মানুযায়ী ছুটি ছয় মাস। কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি আছে, কিন্তু অর্জিত ছুটির পরির্বতে কর্মচারীরা বছর শেষে ছুটি না কাটালে ছুটির টাকা পেত। সেটা এখন কর্তন করে ছুটি কাটাতে বাধ্য করা হচ্ছে। কর্মচারীদের ওভারটাইম ও অনকলে যে টাকা দেওয়া হয় তা দুই বছর যাবত বন্ধ আছে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০