রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর মজুরি-ভিত্তিক এমএলএসএস আব্দুর রশিদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সকলে। নারী প্রশিক্ষাণার্থীদেরকে উত্যক্তকরণ, চত্বরে মদ-গাঁজার আসর বসানো, কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর নাতি পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। খোদ পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট নিজে অভিযোগ পাঠিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে।
জানা গেছে, এর আর আগে ৬ জন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অফিস না করার কারণে তাকে একাধিকবার তলব করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুরই তিনি ধার ধারেন না। নিজেকে সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের নাতি পরিচয় দিয়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়ে যান। সামান্য এমএলএস হয়ে উল্টো সুপারিনটেনডেন্টকেই তিনি শাসিয়ে বেড়ান। কেবল পিটিআইয়ের ভিতরেই নয়, বাইরেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে শত অভিযোগ। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
পিটিআইয়ের সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট রেজাউল হক বলেন, আব্দুর রশিদের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলাম। বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমি আর রাজশাহীর দায়িত্বে নেই। তবে শুনেছি রশিদ বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।
বর্তমান সুপার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, তাকে পিটিআইয়ের অফিস থেকে সরিয়ে সাময়িকভাবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানেও যদি সে কোনো অপরাধ করে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের ভাষ্য, রশিদকে মূল অফিস থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হলেও তার দাপট কমবে না। কারণ ওই বিদ্যালয়টি পিটিআই ক্যাম্পাসেই অবস্থিত। ফলে সে অফিস ফাঁকি দিয়ে এসে পিটিআইয়ে মাস্তানি করবে। এখনো করে যাচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০