নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তিন পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীর বাগমারার ভবানিগঞ্জ, বাঘার আড়ানি ও গোদাগাড়ীর কাকনহাট পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রচার-প্রচারণার সময়ে রাজশাহীর আড়ানিতে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে ভবানিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। তবে কাকনহাট পৌরসভায় এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি।
শুরু থেকেই বড় দুই দল বিএনপি ও আ’লীগের প্রার্থীরা নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণা
চালান। তবে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের আশা, ভোট সুষ্ঠ হলে তাদের জয় সুনিশ্চিত। আ’লীগ প্রার্থীরাও ভোটে জয়ের আশা দেখছেন। বিশেষ করে সংঘর্ষের ঘটনায় আড়ানি পৌর এলাকার ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ও ভয় কাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পুলিশের পাশপাশি র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে।
ভবানিগঞ্জ: ভবানিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে পৌরসভার ৯ টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪০৪ জন ভোটার আছে। মেয়র পদের প্রার্থী আব্দুল মালেক মন্ডল নৌকা, আব্দুর রাজ্জাক ধানের শীষ, স্বতন্ত্র (আ’লীগ পন্থি) মামুনুর রশিদ মামুন জগ ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন নারিকেল গাছ মার্কা নিয়ে পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দুইটি কেন্দ্রকে অধিকাংশ ঝুকিপূর্ণ।
কাকনহাট : কাকনহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি ও আ’লীগ উভয় বড় দুই দলের প্রার্থী রয়েছে। আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন একেএম আতাউর রহমান,
বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হাফিজুর রহমান। উভয় প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা বলছেন, সুষ্ঠ ভোট হলে তাদের প্রার্থী জয়লাভ করবে।
আড়ানি: বাঘার আড়ানি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তোজাম্মেল হক ও আ’লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে রয়েছেন শহীদুজ্জামান। অপরদিকে আ’লীগের বিদ্রোগী হিসেবে শক্ত প্রার্থী রয়েছেন, বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী। এখানে সহিংস ঘটনা ঘটেই চছেছে। আ’লীগের দলীয় কোন্দলে বিএনপি প্রার্থী জয় পাওয়ার আশা নেতাকর্মীদের। এদিকে, সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ৪
জন পুলিশ সদস্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৫ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশপাশি ৯ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেল এ ছাড়াও র্যাব সদস্য মাঠে থাকবেন। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। র্যাব ও বিজিবিও দায়িত্ব পালন করবে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০