অফিসকক্ষে ঢুকে মারপিটের পর আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমরুল হক। সোমবার বিকালে গোদাগাড়ী থানায় তিনি এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন রসায়নের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, ইংরেজির প্রভাষক নাজমুস সাদাত, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক জেহাদুল ইসলাম ও গোলাম রাব্বানী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের প্রভাষক শীষ মোহাম্মদ, পরিসংখ্যানের প্রভাষক নুরুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক জাফর ইকবাল, বাংলার প্রভাষক শাহাদাৎ হোসাইন ও মনিরুল ইসলাম এবং মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, গত ২১ অক্টোবর বিকালে দলবদ্ধভাবে তার কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। মারপিটের পর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পাহারায় বসেন ওই শিক্ষকরা।
আসামিরা কলেজের অফিসকক্ষের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন ও ৫০ হাজার টাকা লুট করেন। খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।
চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি সোমবার বিকালে ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেন। পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, দলবদ্ধভাবে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা এবং সম্পদ নষ্টের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলামকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে তার অফিসকক্ষে মারপিটের অভিযোগে কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল।
সম্প্রতি আদালত ওই সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সাবেক অধ্যক্ষকে মারপিটের মামলার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমরুল হকও যিনি ২১ অক্টোবর অন্য শিক্ষকের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন।
জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০