আজ ১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা পৌণে ৭টা। রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তেরখাদিয়া শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় কয়েকজনকে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। এটি নগরীর অন্যতম একটি রাস্তা হওয়ার সুবাদে অনেক যানবাহন ও পথচারী চলাচল করেন। তারপরাও কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই স্থানীয় কিছু ছেলে এটিকে খেলার মাঠের মতো ব্যবহার করে র্যাকেট খেলছিলেন। রাস্তার মধ্যেই র্যাকেট খেলার কারনে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। কোন কোন পথচারী প্রতিবাদ করলেও তারা সেটিকে কর্ণপাত করেনি। উল্টো তাদের সাথেই চড়াও হয়ে কথা বলেন র্যাকেট খেলা যুবকরা।
এ নিয়ে পথচারী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে সিটি হাট, রেলগেট, লক্ষীপুর, বাইপাস, বহরমপুর ও উপশহরে যাওয়া যায়। এ রাস্তার আইল্যান্ডে ফুলের সমারোহ রয়েছে। অনেক মানুষই সন্ধ্যার পরে এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চা অথবা ফুচকা খেতে আসেন। এছাড়াও এ রাস্তায় রাত পর্যন্ত যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে। বিভাগীয় স্টেডিয়ামও এই রাস্তা লাগোয়া। বিভিন্ন কারণেই রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্ত প্রায় এই রাস্তায় কিছু বখাটে ছেলে আড্ডা দেয়। এরমধ্যে অনেকে চলাচলকারী নারীদের উত্যক্ত করার চেষ্টা করে। কেউ কেউ প্রতিবাদ করে
আবার কেউ মান সম্মানের ভয়ে নিরবে অপমান সহ্য করে চলে যায়। এসব ঘটনাতো আছেই। পাশপাশি গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক রাস্তার উপর ক্রিকেট খেলা শুরু করে। তারা স্থানীয় হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা। আর কেউ প্রতিবাদ করলেও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এসব যুবকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা বেলায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। রাস্তায় ক্রিকেট খেলার কারণে পথচারী ও যানবাহন চালকদের
যেতে অনেক অসুবিধা হচ্ছিলো। তারপরও তারা এগুলোর তোয়াক্কা না করেই খেলা অব্যাহত রাখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি বলেন, এরা স্থানীয় হওয়ার কারণে যা খুশি তাই করে রাস্তার উপর। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এখানে যাতে কোন বখাটে আড্ডা দিতে না পারে ও রাস্তার মধ্যে পথচারীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কেউ র্যাকেট খেলতে না পারে।
আরেক নারী বলেন, রাস্তায় ক্রিকেট খেলার কারণে চলাচলে সমস্যাতো হবেই। এটা ঠিকনা। প্রশাসনের উচিত এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, এরা প্রায় এমন করে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর রাস্তায় খেলার সাহস না পায়।রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০