নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে বিষপানে মিতা খাতুন (২৪) নামের এক নারী কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি আরএমপির চন্দ্রিমা থানার কেচুয়াতল পাইকপাড়া গ্রামের মমসুর রহমানের মেয়ে। আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়।
নগরীর এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, গত জুন মাসের ২৬ তারিখ এয়ারপোর্ট থানার এসআই তাবারক করোনা সনাক্ত হন। এরপর যারা যারা তার সঙ্গে মিশেছেন এমন সদস্যদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়। ২৬ তারিখে নারী কনস্টেবল মিতাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এরপর ৩০ তারিখে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় নিজ বাড়িতে সে বিষপান করে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি
জানতে পেরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর জুলাই মাসের ৩ তারিখ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর ৪ জুলাই আবার অসুস্থ বোধ করলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুনরায় ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।৷ কি কারণে নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা করেছে তা আমরা জানতে পারিনি। কারণ সে সময় তিনি নিজ বাড়িতে ছিলেন।
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মনির বলেন, কেন নারী কনস্টেবল মিতা নিজ বাড়িতে বিষ খেয়েছিল তা আমরা জানতে পারিনি। তবে পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, কেন ওই নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা করেছে তা আমরা জানতে পারিনি। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০