রাজশাহী মহানগরীতে হেতেমখাঁন কারিগর পাড়া এলাকায় রাতুল (২০) নামের যুবক ও তার মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের স্বজনদের মধ্যে ন্যায্য বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আহতের ছোট ভাই রাহুল অভিযোগ করে জানান, নগরীর হেতেমখাঁন কারিগরপাড়া এলাকার মুদির দোকানদার সুইট (২৫) এর দোকানের সামনে দিয়ে তার ছোট ভাই রাহুল (১৪) হেটে যাচ্ছিল। এ সময় দোকানদার সুইট তাকে টোকাই নাম ধরে ডাকে। এ সময় সে দোকানদার সুইটকে বিকৃত নাম ধরে না ডাকার জন্য অনুরোধ করলে মুদির দোকানদার সুইট, তার চাচা দুলাল (৩৮) সহ তার ছেলে এবং তার আরেক চাচা শফিক(৩৫) তার চাচাতো দুই ভাই ইমান(২৪) ও রানা(৩০) মিলে তার ছোট ভাই রুহুলকে তাৎক্ষণিক ডেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
খবর পেয়ে তার মা ছোট ভাইকে বাচাঁনোর জন্য এগিয়ে গেলে তারা তার মাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এছাড়াও তার বড় ভাই রাতুল(২০) কে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। পরে তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা
হয। বর্তমানে তার ভাই রামেক হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডের ৫নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় একাধিকবার গেলেও তারা মামলা নেয়নি। বিভিন্ন কথা বলে ঘুরিয়ে পাঠায়। রাহুল অভিযোগ করে আরো বলেন, ঘটনার পর ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেল এখনো মামলা রেকর্ড করা হয়নি। এ নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।
তবে মামলা না নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, ঘটনা শোনার পর পরই মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইফতেখারকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। মামলা রেকর্ড করে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে আমার নির্দেশ উপেক্ষা করে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস/এম
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০