নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধুমাত্র গুজবে কান দিয়ে রাজশাহী মহানগর ও জেলার আশেপাশের উপজেলার মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লবণ কিনে ফেলেন। কিছু কিছু মানুষ এত বেশি লবণ কিনে ফেলেন যা তারা আগামী ছয় মাস বা আরো বেশি সময় ব্যবহার করলেও শেষ হবে না। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সর্বত্র লবণ নিয়ে লঙ্কাকাÐ হলেও বুধবার লবণের বাজার ছিল স্বাভাবিক। এদিন লবণ নিয়েও কোন কাড়াকাড়ি হয়নি। এমনকি কোন কোন দোকানে ৫ কেজি লবণ বিক্রি হয়নি বলেও শোনা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় লবণের দাম
অতিরিক্ত বেড়ে গেছে বলে গুজব রটে যায়। প্রতি কেজি লবণের দাম ২০০ টাকায় উঠবে এমন খবরে নারী-পুরুষসহ সবাই লবণ কেনার জন্য দোকানে লাইন ধরে। কেউ কেউ ৫ কেজি থেকে শুরু করে ২০ কেজি পর্যন্ত লবণ কিনে নেন। শুধু গুজবে কান দিয়েই মানুষ নিজের প্রয়োজনের তুলনায় সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত লবণ কিনে নেন। আর এতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লাভবান হন। কারণ তারা জনগনের পকেট কেটে প্রচুর পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। দোকানীরাও এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত মূল্যের থেকে অতিরিক্ত দামে লবণ কেনেন। এরপর প্রশাসন এটিকে গুজব বলে প্রচারণা শুরু করে বাজার মনিটরিং এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে শুরু করেন। লবণের দাম বেশি নিলে পুলিশকে খবর
দিতেও নির্দেশনা দেন। কিন্ত মানুষ গুজবে কান দিয়ে লবণ কেনা শুরু করেন। তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে রাজশাহীতে ৮ জন ব্যবসায়ীকে সাজা দেয়া হয়। এ ছাড়া কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়। বুধবার সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মঙ্গলবার মানুষের মধ্যে লবণ কেনার কোন প্রতিযোগিতা ছিল না। ন্যায্য মূল্যেই লবণ বিক্রি হচ্ছে। দোকানীরাও বেশি দামে লবণ বিক্রি করছেনা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়। নাইমুল নামের একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আজ বাজারে লবণ কিনতে গিয়েছিলাম। ন্যায্য মূল্যেই লবণ কিনেছি।
অতিরিক্ত দাম নেয়নি। ক্রেতাদেরও চাপ ছিল না। বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন লবণ কিনতে ক্রেতাদের তেমন ভিড় ছিলনা। বছরের অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে কোন ঘাটতি নেই। গুজব রোধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ বেশি দাম নিলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজশাহীতে ৮ জনকে সাজা দেয়া হয়। বুধবারও কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দাম নিলে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০