নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে আবারো সাপের ভয় দেখিয়ে পথচারীদের থেকে টাকা আদায় করে হয়রানির মুখে ফেলছে বেদের মেয়েরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এরা বাক্সে করে সাপ নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বেদের মেয়েরা। আর কেউ টাকা দিতে না চাইলে তারা মানুষকে অভিশাপ দিচ্ছে। বেদের মেয়েদের হাত থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। বেদের মেয়েরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী নারী-পুরুষদের পথ আগলে টাকা দাবি করছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র
সাহেব বাজার এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়। সরজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন বেদের মেয়ে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাস্তার পথচারীদের কাছ থেকে সাপের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। কেউ না দিতে চাইলে তারা অভিশাপ দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ সাপের ভয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা দিচ্ছে। আবার কারো কারো থেকে ৫০ টাকাও আদায় করছে। বেদের মেয়েরা দল বেধে রাস্তা দিয়ে যাওয়া, অটোরিক্সা ও রিক্সা থেকে উঠানামা করা যাত্রীদের ঘিরে ধরে টাকা আদায় করছে। দেখা যায়, এক যুবক টাকা দিতে না চাইলে বেদের মেয়েরা তার সামনে বাক্সে থাকা সাপ বের করে জোর করে টাকা দাবি করে। পরে সাপের ভয়ে ওই যুবক তাকে ২০ টাকা দিয়ে রক্ষা পায়। আরেক যুবতীর সাথেও
এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরডি মার্কেটের সামনের রাস্তায় ৪/৫ জন বেদের মেয়ে এক যুবতীকে ঘিরে ধরে। দাবি ২০ টাকা। ওই মেয়ে টাকা দিতে না চাইলে তারা আবারো সাপের ভয় দেখায়। সাপের ভয়ে ওই যুবতীও অন্যদের মতো টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। জনাকীর্ন জিরো পয়েন্টের রাস্তায় তাদের ভয়ে কিশোর ও কিশোরী অন্যদিক দিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় রিক্সা ও অটোরিক্সার সামনেও পড়েছে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় এক নারীর থেকে জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে বেদের মেয়েরা। তখন এই প্রতিবেদক ছবি তুলতে গেলে বেদের মেয়েরা প্রতিবেদকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তারা কোথা থেকে এসেছে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে
বেদের মেয়েরা বলে, জেনে তুই কি করবি? তুই সাথে যাবি নাকি? ছবি তুললি, নে ছবি তুলে তুই কি---ছিড়বি। এমন অনেক অকথ্য কথা বলে তারা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০০ জন বেদের মেয়ে কয়েকদিন আগে রাজশাহী মহানগরীতে এসে পথচারীদের উৎপাত করছে। এরা নগরীর উপকণ্ঠে আস্তানা গেড়েছে। এভাবে পথচারীদের হয়রানি করলেও তারা কোনো ভাবে বাধার সম্মুখিন হয়নি। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিলোনা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাতে বেদের মেয়েদের কাছে কোনো পথচারী আর হয়রানির শিকার না হয়।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০