একদিকে পবিত্রমাহে রমজান ও অন্যদিকে চলছে প্রচণ্ড গরম। গরমে একটু গলা ভিজিয়ে নিয়ে স্বস্তি পেতে আখের রস খেতেন পথচারীরা। আর মাহে রমজানের সময় ইফতারি আয়োজনে আখের রস খেতেন রোজাদাররা। কিন্ত দেখা গেছে ব্যতিক্রম চিত্র। আখের রস বিক্রিতে মন্দাভাব। লকডাউনের কারণে লোক সমাগম না হওয়ায় ও নগরের বাইরের মানুষ না থাকায় আখের রস তেমন বিক্রি হচ্ছেনা। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন আখের রস বিক্রেতারা। কারণ রমজান মাসেও তেমন আখের রস বিক্রি হচ্ছেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল দেশে পবিত্র মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান মাস আসে। একই দিন থেকেই সর্বাত্মক লকডাউনও শুরু হয়। রমজান শুরুর পর থেকেই লকডাউন চলছে। এরমধ্যেই আরো ৭ দিন লকডাউনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময়টাতে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। গরমকালে একটু স্বস্তি পেতে আখের রস পান করেন অনেক মানুষ। কিন্ত এবার তা হচ্ছেনা। কারণ লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। এ কারণে আখের রস বিক্রি হচ্ছেনা।
রোজার সময় ইফতারি আয়োজনে আখের রস বিক্রি হলেও এবার হচ্ছে না। কারণ মানুষ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না থাকা ও লকডাউনের কারণে তেমন ক্রেতা নেই। আখের রস বিক্রেতারা জানান, তারা প্রতি গøাস মাত্র ১৫ টাকায় আখের রস বিক্রি করছেন। সকাল থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাত পর্যন্ত আখের রস বিক্রি করেন বিক্রেতারা। করোনাকালীন পরিস্থিতি হওয়ায় এখন রাতে বিক্রি হচ্ছেনা।
আখের রস বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্রি করছি ১৫ টাকায়। তারপরও তেমন বিক্রি হচ্ছেনা। বিকেল থেকে ইফতারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচুর বিক্রি হতো। এবার তা হচ্ছেনা। তাই লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাও তেমন নেই। ইফতারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচুর বিক্রি হতো। এবার তা হচ্ছেনা। তাই লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাও তেমন নেই।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০