নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন আদুবুড়ি গ্রামে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে এক পরিবারকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ডিঙ্গাডোবা ঈদগাহ মোড়ের ঈমামুল মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগি হানুফা বেগম এ অভিযোগ করেন।
হানুফা বেগম লিখিত বক্তেব্যে বলেন, আমার পূর্ব স্বামী শামসুদ্দিনের ছেলে মুর্তজা (হাবলু) প্রায় এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করলে মানবিক কারণে পুত্রবধূ তানজিলাকে (মুর্তজার স্ত্রী) তার দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ আমার আদুবুড়ি গ্রামস্থ বাড়িতে আশ্রয় দেই। যেটির পৈত্রিক সূত্রে গত ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট বন্টননামা দলিল নম্বর ৪১৯৬/২০১৪-এর ৫ম পক্ষ হিসাবে এই সম্পত্তি স্বত্ব দখলপ্রাপ্ত হয়ে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাড়ি তৈরি করে নিজ নামে নাম খারিজ করে খাজনাদি দাখিলে যাবতীয় প্রকারের ভোগ দখল করছি। যার জেএল নং-৫২, আর এস খতিয়ান নম্বর ৮৬, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ৬২৬, হোল্ডিং নং-৬৭০, দাগ নং-১০২ এবং ৫০, পরিমান .০৬১১ এবং .০১৮১, মোট .০৭৯২ একর। কিন্তু মানবিক কারণে বসবাস করতে দিলেও এখন ওই সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য তানজিলা (মুর্তজার স্ত্রী) বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করতে থাকে। তার বেআইনী ও অন্যায় স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল একটি জঘন্যতম কাল্পনিক বর্ননা দিয়ে কুচক্রি ও ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় তানজিলা আমার বর্তমান স্বামী আমির আলীর ঔরষজাত সন্তান মো. সান্নানের নামে রাজপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৫৫, তারিখ ২৩/০৪/২০১৮ইং।
যে হয়রানীমূলক মামলায় অভিযুক্ত সান্নানকে আপন দেবর বলা হয়েছে এবং ঠিকানা দেয়া হয়েছে আমার আদুবুড়িস্থ বাড়ি। এছাড়াও আমি প্রায় ৪০ বছর থেকে ডিঙ্গাডোবাস্থ বাড়ি নং- ৬৪, থানা- রাজপাড়া জেলা- রাজশাহীতে পরিবারসহ বসবাস করছি। শুধু তাই নয়, কাল্পনিক এ জঘন্যতম মামলার ঘটনাস্থল লক্ষীপুর মোড়স্থ আবাসিক হোটেল বৈশাখীতে দেখানো হয়েছে। অথচ, উল্লেখিত দিন ১৮ এপ্রিল সান্নান সকাল ৭টা থেকে রাত ১০ পযর্ন্ত প্রতিদিনের ন্যয় ট্রলি চালক হিসাবে উপশহর কাইছার রহমান হাসপাতালের সামনে এবং বাটার মোড়ে ঠিকাদার হাবিব ও সোহেলদের পাইলিংয়ের কাজের কাঁদা বহনে কর্মরত ছিলেন। আর হোটেল বৈশাখীর রেজিষ্টার মোতাবেক আমির আলীর পুত্র সান্নান বা বাদী পক্ষ তানজিলার কন্যা মুক্তা নামে ঘটনার তারিখে ওই হোটেলে অবস্থান করেনি। এজাহারের বনর্ণা অনুযায়ী ঘটনাস্থল হিসাবে বৈশাখী হোটেলটি চিহ্নিত করলেও হোটেলের রেজিষ্টার বা সিসি ক্যামেরায় তার কোন প্রমান মেলেনি। যে কারণেই পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, আমার ছেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যা কাল্পনিক গল্প মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়ের করে তানজিলা বেগম তার কুচক্রিদের সহযোগিতায় আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি ছাড়া করেছে। এ জঘন্যতম ঘটনার বনর্না দিয়ে মামলা করায় তানজিলা ও তার কুচক্রি সহায়তাকারীদের বেআইনী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীসহ আমি তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনের বাস্তব ও আইন সম্মত আইন সহযোগিতা কামনা করছি।
একই সাথে আমি ও আমার পরিবারকে নিজ বসত ভিটায় ববসাস করা এবং আমার কর্মঠ নিরিহ নিরাপরাধ ছেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিবাদীর পিতা আমির আলী, ভাই হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০