নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের তালগাছি গ্রামে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে উল্টো স্কুছাত্রীকে হুমকি দিয়ে ছেলেকে জোর করে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে-দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে ফরিদা খাতুন (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে তালগাছি গ্রামের ফজলুর মেয়ে। শনিবার সকালে তার বাড়ির পাশের একটি কাঁটাল গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা গেছে, উপজেলার তালগাছি গ্রামের ফরিদার সাথে পাশের গ্রাম মাধাইপাড়া গ্রামের ইজাহার আলীর ছেলে তাহাজ্জুদ আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে তাহাজ্জুদ মেয়ে ফরিদার বাড়িতে যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ধরে রেখে বিয়ের দাবি
তোলে। এদিকে, ছেলে তাহাজ্জুদের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই লোকজন নিয়ে গিয়ে মেয়ে ফরিদা ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বিয়ের কথা অস্বীকার করে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা মেয়ের সাথে অসাদাচরণ করে। গতকাল শনিবার সকালে ফরিদা কাউকে কিছু না বলে বাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ে মেনে নিলে এমন ঘটনা ঘটতোনা। তারা ছেলে ও তার বাবার কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। পরিবারের লোকজন তাকে ঝুলতে দেখে পবা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে
পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যপারে পবা থানায় মেয়ের বাবা ফজলু বাদী হয়ে ছেলে তাহাজ্জুদ ও তার বাবা ইজাহারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে পবা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ছেলে তাহাজ্জুদ মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন বিয়ের দাবি করে। কিন্ত ছেলে বাবা লোকজন নিয়ে গিয়ে জোর করে ছেলে নিয়ে আসে। এ কারণে মেয়েটি সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০