রাজশাহী মহানগরীতে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্ব-মিল ব্যবসায়ী কাজেম আলী। তিনি অভিযোগ করে জানান, গত ২০০৯ সালে তিনি ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে ১০ বছর মেয়াদি একটি বীমা করেন। যার পলিসি নম্বর ৫২০২১৭২৬, এরিয়া-১২, জোট-২০, জেলা-৫২, বøক-৩২০৪ ও এজিএল-১৭১। কোম্পানীটি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ভবনে ভাড়া অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতি মাসে তিনি ১০০৮ টাকা করে টাকা জমা দিতেন। এ বীমার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছে। তিনি হিসাব অনুযায়ী কোম্পানীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা পাবেন। ১৬ মাসের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও এখনো তার টাকা কোম্পানী থেকে পাননি। অফিসে গিয়ে টাকার কথা বললে তারা আরো দেরি হবে বলে জানায়।
তিনি অভিযোগ করে আরো জানান, অফিস থেকে তাকে জানানো হয় তার সিরিয়াল ৩২০০-৩৩০০ এর পরে রয়েছে। এই সিরিয়াল অনুযায়ী টাকা দেয়া হবে। দেড় বছরের অধিক সময়ে চলে গেলেও এখন পর্যন্ত কোম্পানী তাকে একটি টাকাও দেননি। বীমা পলিসি খোলার সময় নানা ধরনের লোভনীয় অফারের কথা বললেও বাস্তবে এর কিছুই দেখা যায়নি। তাই তিনি দ্রæত বীম অফিস থেকে প্রাপ্ত টাকা তাকে বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, হাতে ক্যাশ বা চেকের মাধ্যমে কোম্পানী এখন টাকা দেয়না। কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী গ্রহকের ব্যাংক হিসাব নম্বরে পর্যায়ক্রমে টাকা চলে যাবে। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার পর্যন্ত সিরিয়ালের টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে। তবে কাজেম আলীর সিরিয়াল হচ্ছে ৩৬৪০। এই সিরিয়াল আসতে আরো ৩/৪ মাস সময় লাগবে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০