নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর শাহমখদুম কলেজে সামাজিক সংগঠন পদ্মা যুব সংঘের মিটিং থেকে জামাত শিবির সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ । আটককৃতরা হলেন, নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার শেখেরচক এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে রায়হান আজাদ (২৫), মজিবুরের ছেলে মেজবাউল আরেফিন (২৮), আমিরের ছেলে শাহিন আলী (২৫) ও মৃত রবিউলের ছেলে হোসেন আলী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বলে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, আজ শুক্রবার বিকাল থেকে শাহ মখদুম কলেজ এর একটি রুমে পদ্মা যুব সংঘ নামে একটি সংগঠনের মিটিং চলছিল। সেই মিটিং-এ জামাত-শিবিরের মিটিং হচ্ছে এমন সন্দেহ করে স্থানীয় আ'লীগ নেতা কর্মীরা তাদের আটকে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জনকে ছেড়ে দেয় ও চারজনকে জামাত-শিবির সংশ্লিষ্টতায় আটক করা হয়। আটক দের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য পদ্মা যুব সংঘের পক্ষ থেকে রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজে পূর্বনির্ধারিত আজ মতবিনিময় সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। কিন্তু তিনি সেখানে না আসতে পারায় তার ভাইকে পাঠান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের সাবেক এএসপি কে এম হাবিবুর রহমান, শাহ মাখদুম ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এস এম রেজাউল ইসলাম, ২৩ নং ওয়ার্ড কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা উদ্দিন জসির, রাসিকের সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর (৮) নাসিরা বেগম। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন পদ্মা যুব সংঘের সভাপতি আজম আলী রুন্না।
এদিকে, যে যুবসংঘের মিটিংয়ে মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক পুলিশের এএসপি ছিলেন সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করায় স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, সেখানে রাজনৈতিক কোনো আলোচনা ছিল না যুব সংঘের পূর্বনির্ধারিত মিটিং ছিল।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০