নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে নির্ধারিত অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। ৫৫ বয়স উর্ধ্ব এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৫ টি ক্যাটাগরির নাগরিক ভ্যাসিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম ধাপে রাজশাহীর ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ভ্যাসিনের আওতায় আসছে। আগামী ৭ ফেব্রয়ারি থেকে নগরীর
৩টি পয়েন্টসহ জেলার ৯ টি উপজেলার প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগাম পরিচালনা করা হবে। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে’। তিনি আরো বলেন,ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় বা ক্ষতির কোনো কারণ নেই। জেলা প্রশাসক গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অ্যাপে আবেদন করার আহবান জানিয়েছেন। রাজশাহীর ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জনসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
রাজশাহীর সভিলি সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার জানান, আগামী ৭ ফেব্রয়ারি থেকে বিভাগের আট জেলায় একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। গত শুক্রবার সব
জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনস্থ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জেলা ইপিআই ষ্টোরে রাখা হয়েছে। সব কেন্দ্র এক সঙ্গে চালু করা হবে না। প্রথম পর্যায়ে জেলা শহরে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় দেয়া হবে। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে টিকা প্রয়েগের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকে তার কেন্দ্রের নাম, বুথ, ক্রমিক, তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজশাহীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯ কার্টুন ভ্যাকসিন। প্রতিটি কার্টুনে ১২০০ ভায়াল থাকবে। একটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম ডোজ শেষে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে ৮ সপ্তাহের মধ্যে। প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থকেন্দ্রগুলোর ৩ টা বুথে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০