নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলায় শীতে সবজি আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে ক্রেতাদের মধ্যে। সরজমিনে রাজশাহী মহানগরীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এর আগে আমদানি কমের অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়ে যায়। এতে কম আয়ের মানুষজন ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকা সত্বেও অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী
মহানগরীর বাজারগুলোতে লাউ, পুুঁইশাক, কাকরল, পেঁপে, লাল শাক, সবুজ শাক, বেগুন, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, সিম, ধনে পাতাসহ অন্যান্য সবজির দাম কমে গেছে।
রাজশাহীর কাঁচা বাজারগুলোতে লাউ ছোট-বড় ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা, পুুঁইশাক ১৫ থেকে ৩০ টাকা, লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, সবুজ শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা ও ফুলকপি প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, বাঁধা কপি ১৫ থেকে ২০ টাকা
কেজি ও ধনে পাতা ৫ টাকায় এক মুঠো। গত সপ্তাহ থেকে সবজির দাম কমতে শুরু করে। বর্তমানে ফুলকপি ছাড়া প্রত্যেকটি সবজির দাম তুলনামুলক অনেক কম রয়েছে। নগরীর বাজারগুলোতে নতুন জাতের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ কেজি। তবে বিভিন্ন উপজেলায় এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।
নগরীর কোর্ট স্টেশন বাজারে সবজি কিনতে আসা শহিদুল নামের এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম এখন স্বাভাবিক রয়েছে। নগরীর লক্ষীপুর বাজারে সবজি কিনতে আসা রবি নামের এক ক্রেতা বলেন, ফুলকপি ছাড়া প্রত্যেক ধরণের সবজির দাম কিছুটা কম রয়েছে। স্বাভাবিক বলা যায়। খোঁজ নিয়ে আরো জানা
গেছে, শীত মৌসুমে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কম রয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখন শীত মৌসুম আমদানি বেশি হওয়ায় পাইকারি বাজারে দম কম তাই খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। শীত পর্যন্ত দাম কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০