নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুলনা থেকে রাজশাহী মহানগরীতে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসা নারীকে চন্দ্রিমা থানার মুসরইল এলাকার একটি লিচু বাগানে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না করে টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে। শনিবার ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বুঝে নিয়ে চলে যায় তার মা।
গত শুক্রবার রাতে ওই নারীর মা ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসেন। কিন্ত তিনি থানায় মামলা না করে মেয়েকে নিয়ে চলে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়। তাই পুলিশ ওই নারীকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় একটি সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসা নারীকে ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী পরিবারের। তারা থানা পুলিশের মাধ্যমে ওই নারীকে ম্যানেজ করে টাকার মাধ্যমে। কত টাকায় এ মীমাংসা হয় তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, টাকায় সমঝোতা হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারবোনা। তবে ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছিল যে তার ২০ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে। তাই সে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছিল। মেয়ের মা থানায় মামলা করতে রাজি হয়নি। নিজের মেয়েকে নিয়ে রাজশাহী থেকে চলে যায়। থানায় মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
উল্লেখ্য, গত ১ মে ৩৫ বছর বয়সি ওই নারী মোবাইল ফোনে পরিচয় পরবর্তী প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে রাজশাহী মহানগরীতে আসেন। এরপর ওই নারী ছেলের বাড়িতে গেলে তার বাবা-মা মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই দিন রাতেই ছেলের বন্ধুরা ওই নারীকে মুসরইল এলাকার একটি লিচু বাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। ২ তারিখ সকালে ওই নারী চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে নিজেকে গণধর্ষণের কথা পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাকে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০