নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় টানা দিন ও রাতভর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়ছেন দিনমজুর ও কর্মজীবী মানুষজন। বৃষ্টির কারণে কাজ না পেয়ে ছেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপদে পড়েছেন। দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষরা বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে না পেরে ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের
২২ সেপ্টেমবর বেলা ১১টার দিকে খরতাপের পর স্বস্তির বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে রাজশাহীর আবহাওয়া শীতল হয়ে যায়। এরপর বিকেল ও রাতে বৃষ্টি না হলেও সকাল থেকে টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিতে রাজশাহী মহানগরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই জলাবদ্ধতা নগরজুড়ে প্রায় দুই/তিন অব্যাহত ছিল। এর মাঝে মাঝে ঝিরি বৃষ্টি হয়। প্রতিদিনই কিছু সময় বিরতি দিয়ে বৃষ্টি হয়। এরপর গত শুক্রবার দিনভর তেমন বৃষ্টি না হলেও দুপুরের দিকে আকাশে কালো
মেঘ দেখা দেয়। তবে বৃষ্টি নামেনি। রাতে বৃষ্টি না হলেও শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়। টানা বৃষ্টি নামতে থাকে। সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন। কারণ সময়মত তারা পৌঁছাতে পারছেন। এদিন বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। প্রতিদিন সকালে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজের সন্ধানে নগরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করলেও এদিন তা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনেকেই কাজ পায়নি। রহিদুল নামের এক দিনমজুরের সাথে কথা হলে তিনি
বলেন, আমরা যারা কাজ করে সংসার চালাই তারা বৃষ্টির কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছি। কারণ বৃষ্টিতে ঠিকমত কাজ করতে পারিনি। এ কারণে সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে টানা বসে থাকতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজ পাচ্ছিনা। এভাবে আরো বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হতে থাকলে পরিবার নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। রাসেল নামের অপর এক দিনমজুর বলেন, ৫ দিন
ধরে একটানা বসে আছি। আমরা দিনমজুরি করে খায়। কাজ না পেলে সন্তানের মুখে কি তুলে দেব? বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আরো বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০