সাধারণ মানুষ হয়েও বাংলাদেশ পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে পুলিশে চাকুরীর আশ্বাস ও কণ্যা পক্ষের অভিভাবকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের জালে আটক হয়ে ভুয়া এসআই ফিরোজ আহমেদ ওরফে আতিক (৩৫)। পুলিশের হাতে আটক প্রতারক কখনো আরএমপির মতিহার, রাজপাড়া থানা ও বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত আছে বলে অবিবাহিত মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আবার কখনো বিশেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের কথা বলে কণ্যা পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মূলত প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তার নেশা। তিনি নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া পালপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া এসআইকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফিরোজ আহমেদ ওরফে আতিক নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কণ্যা পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি জানার পর ডিবির একটি দল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া এসআই ফিরোজ আহমেদ ওরফে আতিককে আটক করে।
গ্রেফতারের পর আসামী ফিরোজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, গত ৩/৪ বছর যাবৎ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল বেকার যুবকদের চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। সে নিজেকে কখনো আরএমপির মতিহার, রাজপাড়া থানা ও বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত আছে বলে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে অবিবাহিত মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কণ্যা পক্ষের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আবার কখানো বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার কর্তৃক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০