নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আ. রহিম নামে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে মুরাদ হোসেন নামে এক এনজিওকর্মী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন। মুরাদ জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ বলেন, জেলা ডিবির এসআই আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ ৪৬ হাজার চাঁদা আদায় করেছেন। মাদক মামলায় ফাঁসানোর জন্য তিনি চাঁদা নেন। গত ২৮ জুলাই বিকাল ৫টার সময় আমি মোহনগঞ্জ বাজারের কাছে বিয়ান বাড়ী কফি হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কফি পানের জন্য অবস্থান করছিলাম। এসময় হঠাৎ এসআই আ. রহিমসহ সঙ্গীয় ৬ জন ব্যক্তি সিভিল পোশাকে কফি হাউজ থেকে আমাকে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েনের পুকুর প্রজেক্টে নিয়ে যায়।
মুরাদ অভিযোগ করেন, এরপর আমার কাছে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এসআই আ. রহিম। টাকা না দিলে আমাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। বাঁচার জন্য আমি অতিকষ্টে দুই লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা এসআই আ. রহিমকে প্রদান করি। এছাড়া তিনি আমার বাটন ফোন ও একটি রিয়েলমি (অ্যান্ড্রয়েড) মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। পরে তা ফেরত পেয়েছি। তবে হীনস্বার্থ চরিতার্থসহ অবৈধ অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে আমি মাদক ব্যবসায়ী না হওয়া সত্ত্বেও আমাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজানোর অপচেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানক্ষুন্নকরণসহ আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। এ ঘটনায় আমি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসআই আ. রহিমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মুরাদ হোসেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডিবির এসআই আ. রহিম বলেন, ‘১৫/২০ জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত হলে সত্য মিথ্যা জানতে পারবেন।’ এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএ..
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০