নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ঘটার সাথে সাথে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ পাতছেন একশ্রেণীর অসাধু মানুষ। এসব প্রতারকদের উদ্দেশ্য মানুষকে ধোঁকা ও লটারির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। সচেতন মানুষ এদের ফাঁদে পা না দিলেও কিছু মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন। পরে কেউ কেউ থানায় অভিযোগ করলেও অনেকে সামাজিকভাবে হেয় না হওয়ার ভয়ে নিরব থাকছেন। বিকাশ রকেটে প্রতারণার পাশপাশি বর্তমানে জিপির কাস্টমার ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতছেন অনেক প্রতারক। এসব প্রতারক সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দরভাবে কথা বলার পাশপাশি নিজেদের স্মার্টনেশের পরিচয়ও দেয়। যাতে কলদাতা যে সত্যি গ্রামীণফোণ কাস্টমার কেয়ারের লোক তা প্রমাণ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিপিসহ অন্যান্য সিমের মাধ্যমে প্রতারণাকারীরা বেছে বেছে একের পর এক নম্বরে কল দিয়ে কথা বলে। কথা বলে সুবিধা
করতে পারলে বিভিন্ন অফার দেওয়ার কথা বলে বিকাশে টাকা চায় আবার সুবিধাজনক মনে না হলে বেশ সময় নেয় এসব প্রতারকরা। সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের কাছে জিপির কাস্টমার ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধার লোভ দেখানো হয়েছে। এমন কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, গভীর রাতে একটি জিপি নম্বরের সিম দিয়ে সুন্দরভাবে সালাম দিয়ে কথা শুরু করেন। সিম চালাতে কোন সমস্যা হয় কিনা বা কোন ভালো অফার পাওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্ন করতে শুরু করেন। সবশেষে কিছু টাকা দেয়ার অফার করেন সেই কলদাতা। সাথে বলেও দেন যে, টাকা শুধু অফার সক্রিয় করার জন্য লাগবে। অন্যকিছু না মনে করতে। এভাবেই খবর ২৪ ঘন্টাকে জানান কয়েকজন। মারুফ সরকার (ছদ্মনাম) জানান, গত বেশ কয়েকদিন আগে জিপি ০১৩০১৩৯৯৮৫৮ নম্বর থেকে কল দেয়া হয়। রাত গভীর হওয়ার ধরা হয়নি। অন্য সময়েও কল দিলেও ধরা হয়নি। সোমবার বিকেল ৫টা ১৮
মিনিটে ০১৩০১৩৯৯৮৫৮ নম্বর থেকে কল দিয়ে কলদাতা নিজেকে সাজ্জাদ দাবি করে বলেন, আমি জিপির হেড অফিস থেকে বলছি। আপনার সিমটি কি ফোরজি? এ মাসে কি ৩০০ টাকার টকটাইম ও ইন্টারনেট অফার পেয়েছিলেন। এই সিম কি আপনি ব্যবহার করেন। তার প্রশ্নের উত্তর দিলে তিনি বলেন, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অফারগুলো পান না। এটি ঠিক করতে কিছু খরচ হবে। খরচ পাঠিয়ে দিলে সেটি ঠিক করা হবে। কলদাতা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি কেটে দেন।
শুধু উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিরাই নয় অনেক জিপি সিম ব্যবহারীকে পুরস্কার পাওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা-পয়সা চাওয়া হয়। প্রতারকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান এসব ভুক্তভোগী ক্রেতারা।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০