১২ দিন আগেই এসেছে পবিত্র সিয়াম-সাধন ও আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে ইফতারি আয়োজনেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তবানদের ইফতারে বিভিন্ন পদের খাবারের আয়োজন থাকে। নানা পদের ইফতারি সামগ্রী দিয়ে ইফতার করেন তারা। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইফতারি পর্ব সারেন। ইফতারের মুহূর্তটাকে স্মরণিয় করে রাখতে বিত্তবানরা এসব ইফতারি আয়োজন করে থাকেন। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার একটু ব্যতিক্রমীভাবে চলছে ইফতারি আয়োজন।
করোনাকালীন পরিস্থিতি হওয়ায় এবার বাজারের তৈরি ইফতার সামগ্রীর উপর ভরসা করছেন না নগরবাসী। নিজেরাও বাড়িতে তৈরি করছেন ইফতার সামগ্রী।
তবে বাইরে থেকে যারা ইফতার সামগ্রী কেনেন তার কয়েকটি পদের মধ্যে হালিম এবার ক্রেতাদের চাহিদায় রয়েছে। ক্রেতারা অন্যান্য ইফতার কেনার পাশপাশি হালিম কিনছেন। অন্য সময়ের থেকে এবার হালিম বেশি হচ্ছে বলেও দোকানীরা জানিয়েছে। যদিও করোনাকালীন পরিস্থিতি হওয়ার কারণে হোটেল ও রেস্তোঁরাগুলোতে তেমন ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে না। উল্টো লোকসান গুণতে হচ্ছে। তবে বন্ধ না রেখে খোলা রাখছেন হোটেল যাতে চালু থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারা রাজশাহী মহানগরীর হোটেলগুলোতে অন্যান্য ইফতার সামগ্রী বিক্রি হওয়ার পাশপাশি হালিম ভালোই বিক্রি হচ্ছে। এর চাহিদাও রয়েছে অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি। এবার প্রতি বাটি হালিম (ন্যুনতম) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা বাটি পর্যন্ত হালিম বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও কিনছেন ক্রেতারা। নগরের প্রায় সবগুলো হোটেলেই বিক্রি হচ্ছে হালিম। দর প্রায় সমান। এক ক্রেতা বলেন, ইফতারে ছেলেমেয়েরা হালিম খেতে
পছন্দ করে। তাই কিনতে আসা। ছেলেমেয়েদের পছন্দ তাই হালিম কিনতে এসেছি।
এক হোটেল মালিক বলেন, এবার করোনাকালীন পরিস্থিতি হওয়ার পরও হালিম বিক্রি তুলনামূলক ভালোই। আশানুরুপ না হলেও বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা বাটি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ইফতার সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০