বিনোদন স্পট ছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলছে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ নানান প্রকারের দোকান। এইসব দোকানে ফ্রিজ ও লাইট ছাড়াও বাজে সাউন্ড-মিউজিক । এসব দোকানে কোনটি রর নেই মিটার। সরাসরি বিদ্যুৎ পোল থেকে লাইন সংযোগ নিয়ে চলে এই অবৈধ ব্যবসা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় নগরীর লক্ষ্মীপুর, বিন্দুর মোড়, বাস টার্মিনাল, সাহেব বাজার, আরডিও মার্কেট, পদ্মাপাড়, টিবাঁধ, সিঅ্যান্ডবির মোড় ও ফুলতলা এলাকাসহ পাড়া মহল্লায় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ অর্ধশতাধিক চলে ফাস্ট ফুডসহ বিভিন্ন আইটেমের দোকান। এসব দোকানের কোনোটিরই নেই মিটার। সরাসরি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে চলছে তাদের ব্যবসা। এসব দোকান থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দোকান ভাড়ার নামে চাঁদা আদায় করেন থাকেন সরকার দলীয় স্থানীয় নেতারা। অবৈধ এই সংযোগে একদিকে যেমন বাড়ছে প্রাণহানির ঝুঁকি অপরদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। সেখানে এতগুলো অবৈধ সংযোগ কীভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। অনেকেই বলছেন, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব ব্যবসা।
নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে সিমলা পার্কের দুইপাশ জুড়ে ছোট-বড় মিলে অন্তত ৫০টি দোকান আছে। তাদের অনেকেই কৌশলে ব্যবহার করছেন সরকারি বিদ্যুৎ। নগরীর ফুলতলা মোড়ের নদীর ধারে সব দোকানেই ব্যবহার হচ্ছে সরকারি বিদ্যুৎ।
সিঅ্যান্ডবি মোড়ের দোকানি নাজমুল বলেন, আমাদের এখানে একসঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। আমরা সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করি না। মিটার কোথায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মিটার ওইদিকে আছে। তবে সেখানে বিদ্যুৎ তারের কোন সংযোগ দেখা যায়নি। রাজশাহী নগরীর টিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা রজব আলী বলেন, আমাদের এখানে অনেক আগে থেকেই এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা এগুলো জানে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কেউ কিছু বলেনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, অনেক সময় আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একটি মিটার থেকে অন্য লাইন মানবিক কারণে করতে দিই। তবে তবে অতি দ্রুত এসব অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার থানায় যোগদান করা মাত্র এক মাস চলছে। এর আগে থেকেই এই ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসা চলছে। তিনি আরো বলেন, আমি যতটুকু জানি মানবিক কারণে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে এগুলা চলে। তবে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০