খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠককালে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মুখপাত্র রবীশ কুমারের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সফরের পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটি প্রথম বৈঠক।
ভারতীয় পক্ষ থেকে বৈঠকটিকে খুবই ফলপ্রসূ বলে দাবি করা হয়েছে। দুই নেতাই মোদীর মিয়ানমার সফরকালে নেয়া দ্বিপক্ষীয় সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন ও নিজেদের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে একমত হয়েছেন।
২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে আমন্ত্রিত হয়ে অং সান সুচি এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ মেহমান’ হিসেবে ভারতের রাজধানীতে অবস্থান করছেন। সুচি ছাড়াও আসিয়ান দেশগুলোর অন্য নেতারাও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ‘চিফ গেস্টস’ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে এখন নয়াদিল্লিতে আছেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারে সুচি ও মোদী যে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন তা মিয়ানমারের ‘রাখাইন রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা ও উন্নয়ন’ বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় রাখাইন রাজ্যে ভারত ব্যাপক বিনিয়োগ করবে।
সুচির সঙ্গে মোদীর চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই রাখাইন রাজ্যে শুরু হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সেখানকার বৌদ্ধদের ব্যাপক রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ। সে সময় ভারত দৃশ্যত মিয়ানমারের এই নিধনযজ্ঞে নীরব ভূমিকা পালন করে। রাখাইনে নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রাখাইনে এমন বর্বরতা সত্ত্বেও ভারত বরাবরই মিয়ানমারের প্রতি নীরব পক্ষপাত দেখিয়ে আসছে। একটিরারও দেশটি এ বিষয়ে নিন্দাটুকুও করেনি। জাতিসংঘেও ভারত এ বিষয়ে ভোটদানে বিরত থেকে পরোক্ষ পক্ষপাতের প্রমাণ দিয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০