বিশেষ প্রতিনিধি: সম্প্রতি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই আব্দুল মতিন ও তার সামারি টিমের বিরুদ্ধে প্রভাসীর স্বর্ণের বার নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠার পর একে একে বের হতে শুরু করেছে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। খবর ২৪ ঘন্টার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, আব্দুল মতিনের জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার হরিনগর তাঁতিপাড়া এলাকার ইসমাইলের ছেলে। তিনি ১৯৮৫ সালের পহেলা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।
পুলিশে কন্সটেবল পদে যোগদান করেন ২০০৫ সালের ৫ আগস্ট। এরপর আরএমপিতে যোগদান করেন, ২০০৫ সালের ৮ আগস্ট। দীর্ঘদিন আরএমপিতে চাকুরী করেন। কন্সটেবল থেকে এ এস আই পদে পদোন্নতি পান ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর।
এর মাঝখানে তিনি বেশ কিছুদিন আরএমপির বাইরে চাকুরী করেন। এএসআই থেকে এসআই পদে পদোন্নতি পান ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। পদোন্নতি পাওয়ার কিছুদিন পর তিনি আবার আরএমপি ফিরেন। চাকুরী করেন চন্দ্রিমা থানা ও পরে বোয়ালিয়া থানায় যোগদান করেন। রাজপাড়া থানায় চাকুরী করার সময় থেকেই তিনি ছিলেন বেপরোয়া। অভিযোগ রয়েছে, মাদক সংশ্লিষ্টতায় অর্থ্যাৎ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা রেখে চলায় অল্প সময়েই অনেক সম্পদের মালিক হয়ে যান তিনি।
আরো অভিযোগ রয়েছে, গুড়িপাড়ার শুভ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর সাথেও রয়েছে তার বন্ধুত্ব। তিনি তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে অনেক অর্থ কামিয়েছেন। মোটরসাইকেলেও ঘুরেন তার সাথে।
এদিকে, মতিন বোয়ালিয়া থানায় আসার পর থেকেই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। থানায় ওসির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। এ জন্য বিভিন্ন অনিয়ম করতেও সুবিধা হয় তার এমন অভিযোগ করেন খোদ তার অনেক সহকর্মী।
বিভিন্নভাবে এতদিন চললেও মতিন ও তার টিমের বিরুদ্ধে স্বর্ণের বার উদ্ধার করে আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপর রাজারামপুর (কুমারপাড়া) এলাকার মৃত মহসিন আলীর ছেলে আজিজুর ইসলাম (৪০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন হরিনগর তাঁতিপাড়া এলাকার আঃ মঙ্গুর ছেলে ফারুক হোসেন (৩২) গত ১ অক্টোবর কাতার থেকে দেশে ফেরেন। তারা ঢাকা থেকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার সময় নগরীর বর্নালীর মোড় এলাকায় গ্রামীন ট্রাভেলস বাসে তাদের আটক করে। পরে তাদের তল্লাশি করে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করেন। এ সময় তার সাথে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহিন আখতার, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন ও থানার এসআই মতিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বোয়ালিয়া থানার এসআই শাহিন আখতারের জুলাই মাসের ৯ তারিখে নগরীর চন্দ্রিমা থানা বদলি হলেও তিনি যাননি। অভিযোগ রয়েছে, থানার ওসি নিজ ক্ষমতাবলে তাকে থানায় রেখে দিয়েছেন। বদলি হওয়ার পরও দীর্ঘদিন আগের থানাতেই থেকে যাওয়ায় থানার অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসআই আব্দুল মতিন তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সত্য নয়। যা পেয়েছি তা দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে।
জেন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০