নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে যুবলীগ নেতা সুমনের অশ্লীল যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও চিত্রটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর সেই ভিডিও চিত্র নিয়ে চলছে নানা ধরণের আলোচনা সমালোচনা। যুবলীগ নেতার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে আলোচনা।
ভিডিও চিত্র নিয়ে সাধারণ মানুষরা পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন ফেসবুকে। আবার কেউ কেউ এমন কাজ করার জন্য এই নেতার শাস্তি দাবিও করছেন। তবে বরাবরই যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমন বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। তার দাবি এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। যাতে রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়। এমন কর্মকা- তার দ্বারা কখনোই হতে পারে না। গত কয়েকদিন ধরেই সেই চিত্রটি ভেসে বেড়াচ্ছে।
ভিডিওটি এক শিশুর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেখা যায়। ওই ভিডিও চিত্রটি মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়লে নগর যুবলীগসহ রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় তোলপাড়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব মন্তব্য করা তারমধ্যে কয়েকটি তুলো ধরা হলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ব্যক্তি লিখেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে পাপ থেকে বাঁচান, যেখানে আল্লাহ তায়ালার আরশ কেঁপে যায় সেখানে যুবলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কি করছে,,,জবাব চাই। সেই পোস্টে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, শিশু বান্ধব নেতারা আছে তো সমস্যা নাই। আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী সেই ছবি দিয়ে লেখেন, যুবলীগের তৌহিদুল হক সুমনের এই নোংরামির চিত্র। এই ঘটনা দলের জন্য লজ্জাজনক। আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ফেসবুকে লিখেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগ নেতা সুমনের বিকৃত যৌনাচার নিয়ে তোলপাড়। সেখানে আরেক ব্যক্তি অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য করেন। এভাবে একের পর ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ভিডিওটি ফেসবুকে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকই ওই ভিডিও চিত্রটি মোবাইল ফোনে ডানলোড করে নেয়। যা এখন মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নগরের ১৯ নং ওয়ার্ডে ভিডিও চিত্রটি ছড়িয়ে পড়ে।
আলোচিত অশ্লীল ভিডিও চিত্রটি নিয়ে তৌহিদুল হক সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি হজ্ব করে এসেছি। এ ধরণের কাজ আমি করতে পারি না। ওই ভিডিও চিত্রে আমার মাথা কেটে বসানো হয়েছে।’
‘আমি ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে ওই ভিডিও চিত্রটি আমার বলে প্রচার করছে এবং তার নির্বাচনী এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর২৪ঘণ্টা/এম আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০