খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বাসিন্দাম গোপাল মাদ্রাজী (৩২)। তার গ্রামের বাড়ি পাথারকান্দি থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় গত শনিবার দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জনায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে নিজ এলাকায় পূর্ববিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করেন গোপাল মাদ্রাজী। এরপর পালিয়ে পাশের বড়লেখা উপজেলার পাথারিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। উপজেলার সোনারুপা চা–বাগানে সীতারাম মাদ্রাজী নামে তার এক আত্মীয় আছেন। ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নেন। সীতারাম ওই চা–বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন। প্রায় দুই মাস আগে তিনি
(সীতারাম) অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবর্তে গোপাল কাজটি পান। এ সময় ওই কিশোরীর (১৭) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গোপাল বেড়ানোর কথা বলে ৬ জুন ওই কিশোরীকে নিয়ে পাথারিয়া পাহাড়ে যান। সেখানে তিনি তাকে আটকে রেখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। গোপাল লুকিয়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকার বাজারে গিয়ে খাবার কিনে আনতেন।
পুলিশ আরো জানায়, গত শনিবার বিকালে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলে পাহাড়ের কাছে মাজারে আশ্রয় নেন গোপাল মাদ্রাজী ও ওই কিশোরী। এ সময় তাদের দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী লোকজনদের ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই দিন রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গোপালের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা করেন। একই সময়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে জুড়ী থানার উপপরিদর্শক সুরুজ আলী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন।
ওই কিশোরীকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোপাল মাদ্রাজী অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০