ঘরের মাঠে আবারও পয়েন্ট হারানোর একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল বার্সেলোনা। মাত্র তিনদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে রোনালদোর জুভেন্টাসের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বার্সার জন্য জয় ছাড়া কোনো বিকল্প খোলা ছিল না সামনে।
গোলশূন্যভাবে যখন ম্যাচটি শেষ হওয়ার প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছিল, তখনই গোল মেসির পা থেকে। ৭৬ মিনিটে করা মেসির সেই গোলেই ‘মানরক্ষা’ হলো বার্সেলোনার। লেভান্তেকে ১-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে আরেকটু এগিয়ে আসলো বার্সা। ১০ নম্বর স্থান থেকে তারা উঠে আসলো আট নম্বরে। ১১ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট এখন ১৭। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ অবশ্য ম্যাচ খেলেছে মোট ১৩টি। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ রয়েছে এরপরই। পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে অ্যাটলেটিকো। ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ।
সপ্তাহের শুরুতে ক্যাডিজের কাছে হার, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া- সব মিলিয়ে সবচেয়ে বাজে একটি সপ্তাহ কাটলো বার্সার। যে কারণে, জয়ে ফিরতে মরিয়া কাতালানরা। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর থেকে ক্রমাগতই হতাশ করছিলেন মেসি অ্যান্ড কোং। গোল মিসের মহড়া, জাল খুঁজে না পাওয়া- সব কিছুই যেন বিপক্ষে যাচ্ছিল বার্সার।
শেষ পর্যন্ত ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হলেন মেসি। বার্সার জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারে ৬৪২তম গোল করলেন তিনি। এই এক গোলেই জয়ের সঙ্গে অনেক সমালোচনার মুখও বন্ধ করে দিলেন মেসিরা।
ম্যাচের প্রথম থেকেই দারুণ প্রভাব বিস্তার করে খেলছিল বার্সেলোনা। কিন্তু লেভান্তের গোলমুখে এসে কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলছিল তারা। শেষ পর্যন্ত ৭৬ মিনিটে ফ্রাঙ্কি ডি জংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের বিখ্যাত শটে লেভান্তের জাল খুঁজে পেলেন মেসি। গোল করার পর শূন্যে ঘুষি ছুঁড়ে দিয়ে বুনো উল্লাস প্রকাশ করলেন মেসি। মনে হলো যেন, বড় ধরনের এক বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০