নিউজ ডেস্ক: নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে অন্তত ৬টি পণ্যের মূল্য কমেছে। এগুলো হলো—পেঁয়াজ, চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, ময়দা ও এলাচ। এছাড়া, সবজির বাজারেও খানিকটা স্বস্তি লক্ষ করা গেছে। শীতের সবজির মূল্য নতুন করে বাড়েনি বরং কিছু পণ্যের মূল্য অল্প হলেও কমেছে। তবে এখনও অস্বস্তি বিরাজ করছে মসলার বাজারে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, সেগুনবাগিচা বাজার ও মানিক নগর বাজার ঘুরে এই তথ্য জানা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। একইভাবে কমেছে চাল, ডাল, সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য। কমেছে ময়দার মূল্যও। পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া এলাচের মূল্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে মৌলভী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, ‘মসলা জাতীয় পণ্যের মূল্য খানিকটা চড়া থাকলেও সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের মূল্য খানিকটা কমেছে। আর শীত আসতে আসতে কমে আসায় সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য কমেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুকনা মরিচ, হলুদ, রসুন, ধনিয়া ও আমদানি করা আদার মূল্য বেড়েছে।’
কাওরান বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝারি ও সরু চালের কেজিতে কমেছে ২ টাকার। ৫৪ টাকা কেজি সরু চাল শুক্রবার বিক্রি করতে হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ৪৮ টাকা কেজি মাঝারি চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকায়।
কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রফিকুল হক বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
ডালের বাজারেও খানিকটা স্বস্তি মিলছে ক্রেতাদের। মানিক নগর এলাকার বাসিন্ধা কিবরিয়া মোল্লা বলেন, ‘১৫ দিন আগে যে মোটা দানার ডাল ৭০ টাকা কিনেছিলাম, আজ সেই ডালের কেজিই ৬৫ টাকায় কিনেছি।’
ব্যবসায়ীরাও বলছেন, মোটা দানা ও মাঝারি দানার ডাল কেজিতে অন্তত ৫ টাকা কমেছে। খোলা সয়াবিন তেল ও খোলা পাম তেলের মূল্য কমেছে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। খোলা ময়দার মূল্যও কেজিতে ২ টাকা কমেছে। এছাড়া, যে এলাচের মূল্য গত সপ্তাহে ৪ হাজার ৩০০ টাকা কেজি ছিল, সেই এলাচের কেজি শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি করা রসুন, আদা ও দারুচিনির মূল্য বেড়েছে। এই তিনটি পণ্যের অধিকাংশই আসে চীন থেকে। খুচরা বাজারে রসুনের কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বলছে, শুক্রবার আমদানি করা প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি চীনা আদা ১৫০ টাকা। আদার কেজি মানভেদে ১১৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। কাওরান বাজারে নতুন আদা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা।
বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা। আমদানি করা ছোট পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং বড় তুরস্ক ও মিসরীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ১০০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ৪০০ টাকা। হলুদের প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে। নতুন করে বেড়েছে দারুচিনির মূল্য। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে দারুচিনি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়।
এদিকে, সবজির মূল্য কিছুটা কমেছে। মাঝারি আকারের একটি ফুলকপি ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজি ভালো টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা এবং মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শশা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজরের। ভালো মানের শিমের কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। নতুন গোল আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৪০-৫০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা পিস।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০