খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:ভারতের মুসলমান অভিবাসীদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র প্রধান অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে এক সমাবেশে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বিজেপি প্রধান বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার মাটিতে উঁইপোকার মতো। বিজেপি সরকার তাদের এক এক করে তুলে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে। শুক্রবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অমিত শাহ তার বক্তব্যে অবৈধ মুসলিম
অভিবাসী বলতে তাদের বাংলাদেশি হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন। এর আগে ২০১৮ সালের
সেপ্টেম্বরেও মুসলমান অভিবাসীদের উঁইপোকা হিসেবে আখ্যয়িত করেছিলেন অমিত
শাহ। সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে তার ওই
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য তুলে ধরে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি দেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ
ধর্মাবলম্বীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণারও পুনরাবৃত্তি করেন অমিত
শাহ। একইসঙ্গে ভারতের সংবিধান থেকে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে
নেওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেন, অমিত শাহের বক্তব্য
ছিল ভোটারদের সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত করার প্রয়াস। বিজেপির রাজনৈতিক মডেল
হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানো, এটিকে উত্তপ্ত করে রাখা এবং
ভারতকে স্থায়ীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করে রাখা।
কথিত অবৈধ অভিবাসীদের দেশছাড়া করতে অমিত শাহের হুমকি অবশ্য এটাই প্রথম
নয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দলীয় এক সমাবেশে তিনি বলেন, ভারতে থাকা ‘অবৈধ
বাংলাদেশিদের’ শনাক্ত করে তাদের এক এক করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। একই বছরের
আগস্টে কলকাতায় বিজেপির এক সমাবেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের
তাড়াতেই ভারতে নাগরিক তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
অমিত শাহ বলেন, নাগরিক তালিকা (এনআরসি) হচ্ছে বেছে বেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া। মমতার বিরোধিতায় এটি বন্ধ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে পরিণত হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০